‘খালেদা জিয়া বা তার পরিবার কোনও আবেদন করেননি’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১২ বার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে তিনি কিংবা তার পরিবার কোনও আবেদন করেননি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাব দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে বর্তমান কমিটির বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি শুধু গণমাধ্যম থেকেই আমরা জেনেছি। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে এটা একটা কৌশল হতে পারে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আইনজীবী সমিতির বিদায়ী সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারের সদিচ্ছা নেই। রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।’

তাকে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কোনও মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের জন্য কাজ না করে সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করছেন।’

আগাম জামিনের বিষয়ে নিজের সফলতা তুলে ধরে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় যেন সর্বোচ্চ আদালত জামিন দিতে পারে, সে জন্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি। এখন সব বেঞ্চই আগাম জামিন দিচ্ছে এবং বিচারপ্রার্থী মানুষ বিচার পাচ্ছে।’

আইনজীবী সমিতির বিদায়ী এই সভাপতি তার শেষ বক্তব্যে বলেন, ‘তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় দীর্ঘদিন কারাবন্দি আছেন। তিনি দিন দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাকে পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন আছেন। তাই আজ বিদায়ের প্রাক্কালে গণতন্ত্র, আইন, বিচার ও জনগণের স্বাধীনতার স্বার্থে খালেদা জিয়ার আশু মুক্তি কামনা করছি।’ সভাপতি থাকাকালে বিচার বিভাগের ওপর হওয়া অনেক হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ছিল ঐতিহাসিক। পরবর্তীতে ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কারণে বিচার বিভাগের ওপর আরও কঠিন হামলা এসেছে। তখন প্রধান বিচারপতিকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠানো এবং পদত্যাগ করানোর মাধ্যমে… সেই সময়কার হামলা সবার মনে আছে। তবুও এত কিছুর মধ্যেও আইনজীবী সমিতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি।’

এ সময় সমিতির বিদায়ী সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, এম. গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান, নাসরিন আক্তার, কাজী জয়নুল আবেদীন, মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া, মো. আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।খবর যুগান্তর অনলাইন