টেলিস্কোপে এই প্রথম ব্ল্যাক হোল

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬৬ বার।

মহাবিশ্বে আমাদের ঠিকানা মিল্কি ওয়ের ঠিক মাঝখানে। আমাদের থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এ মিল্কি ওয়ের ঠিক মাঝখানে ‘স্যাজিটেরিয়াস এ’ নামে একটি ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর। যেটিকে দেখার আগ্রহ প্রায় এক শতাব্দী ধরেই। সূর্যের ৪০ লাখ গুণ ওজন এই ব্ল্যাক হোলটির। আর ব্যাসার্ধ ১ কোটি ২০ লাখ কিলোমিটার লম্বা।

এমন ভয়ঙ্কর দৈত্যাকার রাক্ষসের ছবি তোলার মতো অসাধ্যসাধনটা করেছে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (ইএইচটি); যা বানানো হয় পৃথিবীর ৮টি মহাদেশে বসানো অত্যন্ত শক্তিশালী ৮টি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক দিয়ে। কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতদিন ব্ল্যাক হোলের কোনো ছবি পাওয়া সম্ভব হয়নি। গাণিতিক তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৮২ সালেই প্রথম কল্পনায় একটি ছবি আঁকা হয়েছিল ব্ল্যাক হোলের। পরে যতগুলো ছবি আঁকা হয়েছে তা সবই কল্পনা।

আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ ‘স্যাজিটেরিয়াস এ’ ছাড়াও ‘এম-৮৭’ নামে আরেকটি ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রচুর আধানযুক্ত কণা ইভেন্ট হরাইজনে থাকে বলে ব্ল্যাক হোলের চারপাশের ওই এলাকায় অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র বা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের জন্ম হয়। সেই শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রগুলোর মধ্য দিয়ে ইভেন্ট হরাইজন থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসে আরও এক ধরনের আলো; যা আসলে রেডিও তরঙ্গ। যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেকগুণ বেশি। তা অনেক অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে; যা এক্সরে পারে না।

সেই রেডিও তরঙ্গকে দেখেই ব্ল্যাক হোলের চেহারাটা বুঝতে পারা সম্ভব। পৃথিবীর ৮টি মহাদেশে বসানো অত্যন্ত শক্তিশালী ৮টি রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে সেই রেডিও তরঙ্গকেই দেখা হয়েছে। ফলে এতদিনে ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে ব্ল্যাক হোলের।