নওগাঁর পত্নীতলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ইছাহাক হোসেন হত্যা:আদালতে খুনি হারুনের স্বীকারোক্তি

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৬ বার।

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইছাহাক হোসেন হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইছাহাক হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঢাকার গাজিপুর থেকে আটক নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হারুন প্রামানিক(৪৮) গত শনিবার বিকেলে জেলার প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ইছাহাক হোসেনকে হত্যার দায স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলুক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে র্দীঘ ৪ মাস পর এই হত্যার রহস্য উম্মোচিত হলো। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে পত্নীতলা থানা চত্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী এই তথ্য জানান।


তিনি বলেন দীর্ঘ ৪মাস পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রেখে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনের দিক নির্দেশনায় অতিক্তি পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তীর সার্বিক সহযোগীতায় উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার পত্নীতলা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জহুরুল হক, এসআই রবিউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম সহ সঙ্গিয় ফোর্স ঢাকার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর ডাইনকিনি এলাকায় ৮দিন ধরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত মূল কিলার হারুন প্রামানিককে আটক করে এবং শনিবার নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে হারুন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক ইছাহাক হত্যাকান্ডের জবানবন্দি প্রদান করে। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জবান বন্দিতে হারুন জানায়, প্রায় কয়েকমাস পূর্বে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় লিটু ফকিরের সাথে তার সহ অন্যান্য আসামীদের পরিচয় হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় ইছাহাক হোসেনের সাথে জমিজমাসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে হারুনসহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ইছাহাককে হত্যার পরিকল্পনা করে লিটু ফকির। এরপর জেল থেকে জামিনে বের হয়ে অন্যান্য আসামীদের লিটু মোবাইলের মাধ্যমে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। ঘটনার প্রায় দেড়মাস পূর্ব থেকে সেখানে আসামীরা কবিরাজ সেজে যাতায়াত করতে থাকে। এই হত্যাকান্ডের জন্য লিঠু ফকির হারুনসহ অন্যান্য কিলারদের সাথে ২লক্ষ ৩০হাজার টাকায় চুক্তি করে। চুক্তি মোতাবেক ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে লিটু ফকিরের সংকেত পেয়ে হারুনসহ অন্যান্য আসামীরা ইছাহাক হোসেনকে হত্যা করে পালিয়ে যায় ।


গত ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক (প্রথম চেয়ারম্যান) মেয়র আলহাজ্ব ইছাহাক হোসেনকে তার নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় দূর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পুলিশ ওই রাতেই একই এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দীন ফকিরের ছেলে নজিপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ওরফে লিটু ফকিরসহ ২জনকে গ্রেফতার করে। পরে এই হত্যা ঘটনায় নিহতের শ্যালক আবুল কালাম আজাদ অরুন বাদী হয়ে পত্নীতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।