মির্জা আব্বাস দম্পতির বিদেশ যেতে বাধা নেই

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৭ বার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে দেশের বাইরে আসা-যাওয়ার সময় বাধা না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন বিভাগ ও বিমানবন্দর থানার ওসি সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মির্জা আব্বাস দম্পতির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

গত ৪ এপ্রিল বিদেশ যেতে ও বিদেশ থেকে ফেরত আসার সময় বাধা না দেয়ার নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস।

অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল মির্জা আব্বাস দম্পতি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন। এর আগে বিদেশ যাওয়ার সময় তাদেরকে বাধা দেয়া হয়েছিল। এবারও বাধা দেয়া হতে পারে- এই আশঙ্কা থেকে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তারা। আবদনের শুনানি নিয়ে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৭ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে, তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত।

আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিণী। নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস তার নেই।

আফরোজা আব্বাস অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে অসৎ উদ্দেশ্যে দালিলিক প্রমাণবিহীন ভুয়া ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।