মেডিকেলের মত ভার্সিটিগুলোতেও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চান শিক্ষামন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৯ বার।
মেডিকেল কলেজের মত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা’ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম 

বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় দীপু মনি বলেন, “আমি জানি কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, বড় বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় নানান কারণে তারা এর বিরোধিতা করে। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাটি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্যে খুবই জরুরি।”

সারা দেশের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। জুলাইয়ে ফল প্রকাশের পর শুরু হবে ভর্তিযুদ্ধ। বর্তমান নিয়মে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তাতে ভোগান্তির পাশাপাশি তাদের প্রচুর অর্থও খরচ হয়।

অন্যদিকে দেশের সব মেডিকেল কলেজে এক দিনে একসঙ্গে এক প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও গতবছর এক অনুষ্ঠানে গুচ্ছভিত্তিক বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালুর বিষয়ে ভাবার তাগিদ দেন। 

সরকারের গত মেয়াদে তখনকার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন পক্ষের বিরোধিতায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করে।

গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, “অনেক হয়রানি কমে যায়, অর্থ অপচয় কমে যায়, কষ্ট কমে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না সারাদেশে এখানে ওখানে সেখানে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া।

“অনেক সময় আমি শুনি ছেলেরা মসজিদে রাতে ঘুমিয়ে পরীক্ষা দেয়। মেয়েরা কোথায় গিয়ে থাকবে? তাদের বাবা-মা এবং সব বাব-মায়ের পক্ষে কি তা সম্ভব? এটা তো সম্ভবও নয়।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারি, তাহলে কেন অন্য ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারব না? আমার বিশ্বাস, আমাদের যদি সবার একটু সদিচ্ছা থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা পারব। এক্ষেত্রে আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সহযোগিতা দেবেন।”