গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

নওগাঁর রানীনগরে মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীর প্রায় পৌনে ২ লক্ষ টাকা লুট

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৪ বার।

নওগাঁর রাণীনগরে মোটরসাইকেল বিক্রির কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে মামুন হোসেন(৩২) নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় পৌনে ২ লক্ষ টাকা লুট এবং গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সুখান গাড়ী গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে। এছাড়াও তার সাথে থাকা আরো দুইজনকে হাত-পা বেধে মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। তারা হলো- নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঝাল ঘড়িয়া গ্রামের জুয়েল হোসেন এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার স্থলপাড়া রামুজি গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৪০)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় রানীনগর সদর উপজেলার মাছের বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রশি, চাকু ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে।  

আত্রাই উপজেলার ভোপাড়া গ্রামের জয়েন আলীর ছেলে এবাদুল ওই টাকা লুটের ঘটনার মূল হোতা বলে জানান স্থানীয়রা। তারা আরো জানায়, এবাদুল দীর্ঘ দিন ধরে রাণীনগরে বাসা ভাড়া নিয়ে মোটরসাইকেল কেনা-বেচার ব্যবসা করে আসছিলো। এ ব্যাপারে পুলিশ এবাদুলের স্ত্রী জলি বিবি (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজনে নিয়েছে।   

মামুন হোসেন জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে সে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনা-বেচার ব্যবসা করে আসছিল। এরই সুত্র ধরে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঝাল ঘড়িয়া গ্রামের জুয়েল হোসেন (৩৩) এর সাথে পরিচয় হয়। সেই মোতাবেক বুধবার সন্ধ্যায় জুয়েল তাকে মোবাইল ফোনে রাণীনগর সদর বাজারে এবাদুলের একটি মোটরসাইকেল বিক্রি হবে বলে জানায়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মামুন এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার স্থলপাড়া রামুজি গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৪০)কে সঙ্গে নিয়ে রাণীনগরে আসেন। এরপর এবাদুলের নেতৃত্বে ৪-৫ জনের সংঘবদ্ধ চক্র প্রথমে জুয়েলকে ডেকে নিয়ে এবাদুলের ভাড়া বাসায় আটকে রাখে। পরে মামুনকে ডেকে নিয়ে তার হাত-পা,মুখ বেধে ধারালো অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে মারপিট করে প্রায় এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নেয়। মামুনের সঙ্গে থাকা আলিমকে ডেকে নিয়ে তাকেও হাত-পা, বেঁধে মারপিট করে।

এসময় ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করা হয় বলে মামুন দাবি করেছেন। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে সংঘবদ্ধ চক্রের সবাই পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। আলিমের মুখে,গলায় ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে থানাপুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রশি,ধারালো চাকু ও হাফ লিটার একটি বাংলা মদের বোতল উদ্ধার করেছে। 

এব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে রশি,ধারালো চাকু ও হাফ লিটার বাংলা মদের একটি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। এবাদুলসহ সংঘবদ্ধ চক্র পালিয়ে গেলেও এবাদুলের স্ত্রী জলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।'