পাহাড়ে বিজু উৎসব শুরু শুক্রবার

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১১ বার।

পাহাড়ের তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু উৎসব শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। 

বাংলা বর্ষের শেষ দু’দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীরা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ১১ ভাষাভাষির ১৫টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী পাহাড়ি জাতিসত্তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু। উৎসবটির বিভিন্ন নামে পালন করা হলেও এর নিবেদন কিন্তু একই। তাই এ উৎসবটি আদিবাসী পাহাড়িদের শুধু আনন্দের নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে। মূলত পুরনো বছরের সব দুঃখ কষ্ট ও গ্লানিকে মুছে ফেলে দিয়ে নতুন বছরের নব উদ্যোগের শুভ কামনা করা হল এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।

শুক্রবার উৎসবের প্রথম দিন ফুল বিজু। এ দিন ভোরে পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এদিনে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা খুব ভোরে ঘুম থেকে  উঠে বনফুল সংগ্রহ করে বাড়ির অঙ্গিনা সাজায় ও তরুণ-তরুণীরা পাড়ায় পাহাড় বৃদ্ধদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্নান করায়। আদিবাসী মেয়েরা বাড়ি-ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে।সন্ধ্যায় বৌদ্ধ মন্দির, নদীর ঘাট, বাড়িতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এছাড়া এ দিন নানান খেলাধুলা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

শনিবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এ দিনে বাড়িতে বাড়িতে চলে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ও আনন্দ-ফূর্তি। বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার বাড়িতে আসা অতিথিদের পরিবেশন করা হবে।

উৎসবের তৃতীয় দিন রোববার ‘গজ্যাপজ্যা বিজু’। এ দিন পাহাড়িরা সারাদিন ঘরে বসে বিশ্রাম নেয়। বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে খাওয়ানোসহ আর্শীবাদ নেওয়া হয়। 

অন্যদিকে মারমা সম্প্রদায় এদিন ঐতিহ্যবাহী পানি খেলার আয়োজন করে থাকে। তারা পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত গ্লানি ও দুখঃ-কষ্টকে দূর করে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। খবর সমকাল অনলাইন