নিজের ফেসবুকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তো খুব শোরগোল ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস।

প্রশ্নে রাহুলের ডিগ্রি, স্মৃতির পাশে জেটলি

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৬ বার।

‘ডিগ্রি-বিভ্রাটে’ বিপর্যস্ত স্মৃতি ইরানির পাশে দাঁড়িয়ে আজ রাহুল গাঁধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অরুণ জেটলি। জেটলির বক্তব্য, কংগ্রেস সভাপতিও তো স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াই এমফিল করে ফেলেছেন। সেটা কী ভাবে সম্ভব? সুত্র : আনন্দবাজার।

নিজের ফেসবুকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তো খুব শোরগোল ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। তারা একেবারেই ভুলে গিয়েছে যে রাহুল গাঁধীর যোগ্যতা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি তো মাস্টার ডিগ্রি ছাড়াই এমফিল করে ফেলেছেন।’’ রাহুলের বিদেশি ডিগ্রি নিয়েও বিতর্ক কিছু কম হয়নি। যার জেরে ২০০৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিজে জানান, ১৯৯৪-এর অক্টোবর থেকে ১৯৯৫-এর জুলাই পর্যন্ত ট্রিনিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন রাহুল। ১৯৯৫ সালে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এ এম ফিল করেন। তবে সে সব বিতর্ক ছাপিয়ে গিয়েছেন স্মৃতি। যদিও নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর ডিগ্রি-বিতর্ক নতুন কিছু নয়। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় বছর বছর শিক্ষাগত যোগ্যতা বদলে গিয়েছে তাঁর। নিজেকে কখনও বাণিজ্যে, কখনও বা কলাবিভাগে স্নাতক বলে দাবি করেছেন তিনি। এ বার অবশ্য হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছেন, ১৯৯৩-এ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে পরের বছর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের করেসপন্ডেন্স কোর্সে বি কম-এ ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার স্মৃতি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে এই হলফনামাতে হাতিয়ার করে। 

জনপ্রিয় ধারাবাহিকের প্রাক্তন নায়িকা স্মৃতিকে  নিশানা করে কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী আবার বলেছেন, ‘কিঁউ কি  মন্ত্রী ভি কভি গ্র্যাজুয়েট থি’।

এই পরিস্থিতিতে রাহুলের যোগ্যতা টেনে জেটলির আক্রমণ দমাতে পারেনি বিরোধীদের। ‘বিভ্রান্তিকর হলফনামা’ দেওয়ার অভিযোগে স্মৃতির প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাদের দাবি, স্মৃতির ছ’মাস জেল অথবা জরিমানা হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর প্রিয় মন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে কেউ কিছু জানেন না। তাঁদের কোনও সহপাঠীও খুঁজে পাওয়া যায় না। এক জন অশিক্ষিত মানুষ অবশ্যই অনেক উঁচু পদে বসতে পারেন। প্রশ্নটা সেখানে নয়। প্রশ্নটা মানুষকে বার বার মিথ্যে কথা বলে বোকা বানানোয়।’’