বগুড়ায় বর্ষবরণঃ উৎসবের রঙ গ্রাম থেকে শহরে

অসীম কুমার কৌশিক ও দোস্ত আউয়াল
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৬ বার।

নতুন সূর্যোদয়ে শুরু নতুন দিনের প্রভাতে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বগুড়ায় বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। বর্ষবরণ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই শোভাযাত্রায় জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৮টায় বগুড়া জিলা স্কুল মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় হাতি, হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মাছ ও মানুষের প্রতিকৃতি স্থান পায়।
শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় পৌর পার্কে বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। পার্কের আলাউদ্দিন উন্মুক্ত মঞ্চে ৬ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন শহীদ জননী আমেনা খাতুন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বুগড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ উদ্দিন আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ামর‌্যান ডা. মকবুল হোসেন। মেলা উদ্বোধনের পর পরই উপস্থিত সবাই গেয়ে ওঠেন ‘এসো হে বৈশাখ এসে এসো...’। এরপর লাঠি খেলা প্রদর্শন করা হয়।
প্রায় ৩৮ বছর আগে শুরু হওয়া বৈশাখী মেলায় এবার ৪১টি স্টল বসেছে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের ভেতরে-বাইরে বসেছে আরও অর্ধশত দোকান। ওই দোকানগুলোতে মাটির তৈরি খেলনাসহ গৃহস্থলীর আসবাসপত্র এবং খাদ্য সামগ্রী রয়েছে।
মেলার পাশেই উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে সারিবদ্ধভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী, বীর শ্রেষ্ঠ এবং ভাষা আন্দোলনে শহীদসহ প্রায় অর্ধশত মনীষীর ছবি লাগানো হয়েছে। ছবির নিচে তাদের জীবনীও লেখা রয়েছে। 
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলার প্রথম দিন লাঠি খেলা, দ্বিতীয় দিন পাতা খেলা, তৃতীয় দিন মোরগ লড়াই, চতুর্থ দিন সাপ ও বানর খেল, পঞ্চম দিন বৌচি এবং শেষ দিন হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন রয়েছে। এছাড়া মেলা চলাকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে পর্যায়ক্রমে। 
বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনবদলের মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই পহেলা বৈশাখের সকালে পৃথভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আগের দিন শনিবার রাতে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে বার্জার পেইন্টসের উদ্যোগে আলপনা আঁকা হয়। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে ৭দিন ব্যাপী আরও একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের আনা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রাম ও মহল্লা ভিত্তিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও বর্ষবরণে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।