বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ময়মনসিংহ সিটির মেয়র হচ্ছেন টিটু

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৬ বার।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

মেয়র নির্বাচনে টিটুর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) জাহাঙ্গীর আহমেদ।

তিনি মঙ্গলবার বিকালে ময়মনসিংহ নগরের একটি হোটেলে ময়মনসিংহ মহানগর জাপার কর্মীসভায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এ সময় জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি দলের সিদ্ধান্তেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হককে সমর্থন দেন।

জাহাঙ্গীর আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছে না। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন টিটু।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও জাপার প্রার্থী ছাড়াও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। গত ১০ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের তাদের তিনজনের মনোনয়ন বাতিল হয়।

মনোনয়ন বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- আবু মো. মুসা সরকার, বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি ও শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বপন মন্ডল।

এদিন দুপুরে ওই তিন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনজনই ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেছেন। তবে আপিলেও তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়। তারা কেউ উচ্চ আদালতে আপিল করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সমর্থক হিসেবে ৩০০ জন ভোটারের তালিকা দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী। তাদের ওই তালিকার স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ২৫৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৭১জন নারী প্রার্থী সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দেন। বাছাইয়ে পাঁচজন কাউন্সিলর ও একজন নারী প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়।

আগামী ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে কেবল কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হবে।

৩৩ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধে অংশ নেবেন। মোট ১২৭টি কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।