স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ

ধুনটে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগী

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৩৯ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনে চিকিৎসকের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে হয়েছে রোগীদের। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগের এ চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ১০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ১০জন মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। এছাড়া ১০টি ইউনিয়ন সাব সেন্টারে ১০টি মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। ধুনট উপজেলায় ৩১জন চিকিৎসকের স্থলে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৭জন চিকিৎসক। এরমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ২জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ৪জন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। বিশাল জনবল শুন্যতায় উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার দৃশ্যপট অত্যন্ত নাজুক। এ অবস্থায় মঙ্গলবার শুরু হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ। ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১১টায় সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। আবাসিক বিভাগের পাশে প্রায় দু’ঘন্টা ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয় সাউন্ড সিষ্টাম। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ যোগ দেন ওই অনুষ্ঠানে। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা পরেন ভোগান্তীতে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসকের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতো বসে পড়তে দেখা যায় অনেককে। অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মালেকা খাতুন বলেন, ‘নাতি ছেরার অসুখ, ডাকতার দেহাবার আচছি। কনে ডাকতার ? আসে, আসে, কিন্তু আসে নাহ। এজন্য মাটিত বইসা পড়ছি’। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন আব্দুল খালেক। পায়ের সমস্যায় তিনি বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। অপেক্ষয়মান রোগীরা অভিযোগ করেছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগে বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। এ কারনে মেঝেতে অনেককে বসতে হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারী অশোক কুমার চাকী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২১জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তবে বর্তমানে মাত্র ৭জন চিকিৎসক দিয়ে এখানে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হাসীব বলেন, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে প্রধান প্রতিবন্ধকতা চিকিৎসক সংকট। চিকিৎসক ও অন্যান্য পদে জনবল সংকট থাকলে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। এ কারনে কিছু সময় রোগীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে।