দুই আসামী ৫ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি নেতা শাহীন হত্যা কবুল করলো পায়েল

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯০০ বার।

বগুড়ায় বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দুই আসামীর মধ্যে একজন পায়েল সেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, পায়েল ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দীতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

 

বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেফতার দুই আসামী রাসেল ও পায়েল সেখের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি বলেন, ওই দুই আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমাণ্ড চাওয়া হয়। শুনানী শেষে বিচারক ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

 

গত ১৪ এপ্রিল রোববার রাতে বগুড়া শহরের উপ-শহর বাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন। শহরের ধরমপুর এলাকার মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে শাহীন পরিবহন ব্যবসায়ী ছিলেন। এক সময় তিনি বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের যুগ্ম আহবায়কও ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আইন পেশায়ও যুক্ত ছিলেন। নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। এতে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ১০ জনকে আসামী করা হয়।

 


ওই হত্যকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বুধবার ভোরে প্রথমে শহর নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আমলিচুকাই গ্রামে পায়েলকে  গ্রেফতার করা হয়। পায়েল নিশন্দারা মণ্ডলপাড়ার মৃত কালু সেখের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই আসামীকে গ্রেফতারের কথা জানান। তিনি বলেন, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যাকান্ডে কমপক্ষে ১০জন অংশ নিয়েছে।