জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৮৬ বিদেশি বন্দী সাজা খাটার পরও কারাগারে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৯ বার।

বাংলাদেশের কারাগারে থাকা বিভিন্ন অপরাধে সাজা খাটা বিদেশি ৮৬ নাগরিকের সাজা শেষ হওয়ার পরও তারা কারাগারেই রয়ে গেছেন। নিজ নিজ দেশ থেকে কেউ নিতে না আসায় কারাগারেই তাদের থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মানবপাচার প্রতিরোধবিষয়ক ‘রিজওনাল কনফারেন্স’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব জানান তিনি।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর সহযোগিতায় ‘কমব্যাটিং ট্রাফিকিং: রিপাট্রিয়েশন অব ভিকটিমস অব ট্রাফিকিং’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের ৪৯৫ নাগরিক বর্তমানে বাংলাদেশের জেলখানায় বন্দী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৬ জনের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও নিজ নিজ দেশ তাদের নিতে রাজি হয়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা আমাদের জেলখানায় রয়েছেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ল্যাটিন আমেরিকায় প্রচুর জমি ছিল কিন্তু কাজ করার মানুষ ছিল না। সেখানে নির্দয়ভাবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ ধরে এনে জোর করে কাজ করানো হয়েছিল। একসময় আরবেও ক্রীতদাস প্রথা ছিল। একটা সময় বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার হয়েছে। এখনো হচ্ছে, তবে সেটা সংখ্যায় কমে আসছে’।

‘এখন যেটা হচ্ছে তা প্রলুব্ধ করা। বাংলাদেশ থেকে এখন জোর করে নয়, প্রলুব্ধ করে লোকজনকে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। এতে তারা ভিকটিম হচ্ছে, অনেকে বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত। আমাদের মানুষকে জোর করে, কখনো প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলতে পারি, আগের তুলনায় ভালো অবস্থানের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ পাচার করা হয়। তবে এখন প্রলুব্ধ হওয়া মানুষদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে।

‘অনেকে এখন বাংলাদেশে আসছে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য। বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারের সংখ্যা অনেক কমেছে।’

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জোর করে এ অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছে। জোর করে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার খুলে না দিলে নাফ নদী রক্তে লাল হয়ে যেতো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইওএম বাংলাদেশের প্রধান গিওরগি গিগাউরি, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, অ্যাটসেক ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর মানবেন্দ্র নাথ মণ্ডল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন।