ঋণখেলাপিরা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে: মেনন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক।
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৯ বার।

৯ শতাংশ সরল সুদে খেলাপি ঋণ পরিশোধের যে সুযোগ সরকার দিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। সেই সঙ্গে শীর্ষ ঋণখেলাপিরা এখনও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে রয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন। সু্ত্র : সমকাল।

তিনি বলেন, 'এই শাসনামলে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খেলাপি ঋণের ব্যাপারে আমরা এরশাদ আমলে খুব সোচ্চার ছিলাম। যারা তখন খেলাপি ঋণের শীর্ষে ছিলেন, এখনও এই সরকারে তারা শীর্ষস্থানে রয়েছেন। অনেক বড় বড় কর্তাব্যক্তি তারা।'  রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্রালাদিমির ইলিচ লেনিনের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে  সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। 

ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শফিকুজ্জামান ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, খেলাপি ঋণের ভারে সমস্ত ব্যাংক নুয়ে পড়েছে। তারল্য সংকট রয়েছে; বিনিয়োগের অর্থ ব্যাংকগুলোর নেই। এই যখন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তখন অর্থমন্ত্রী খেলাপি ঋণের রাহু থেকে মুক্তির জন্য ব্যবস্থাপপত্র ঘোষণা করলেন। ব্যবস্থাপত্রটি হচ্ছে, বড় বড় ঋণখেলাপি যারা, তাদেরকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এবং ৯ শতাংশ সুদ ধরে ১২ বছরের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর মধ্যে কতবার রিসিডিউল হবে, সেটা তিনি বলেননি। এই ব্যবস্থাপত্রটা বিশেষ করে যারা বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ী, তাদের জন্য। সাধারণ ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ যখন ঋণের রিসিডিউল করতে চান তখন কিন্তু তাকে ১০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হয়। আর এমন ঋণ নিয়ে একজনকে সুদ দিতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ।

দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা এবং এর বেশিরভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে মন্তব্য করে মেনন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠিন শর্তারোপের কারণে খেলাপি ঋণের টাকা বিদেশে বিনিয়োগ না করে সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছেন খেলাপিরা। গরিব মানুষ বা একজন কৃষক যখন ঋণ নিয়ে ফেরত দিতে পারছে না, তখন হাতকড়া পরিয়ে জেলে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশ, রাষ্ট্র এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ যে উত্থানটি বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো ধর্মীয় উগ্রবাদ। রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় যা ঘটেছে, তা গণহত্যা জাতীয় ঘটনা। 

লেনিন বলেছিলেন, সভ্যতা পুঁজিবাদের হাতে নিরাপদ নয়- তার প্রমাণ হচ্ছে এসব ঘটনা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ বিপর্যয়। এসব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পৃথিবী আজ ধ্বংসের কিনারে চলে গেছে।