নেত্রকোনার দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৫ বার।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার আটপাড়ার হেদায়েতুল্লাহ আঞ্জু বিএসসি ও সোহরাব ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আমীর হোসেন ও মো. আবু আহমেদ জমাদার।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী ও তাপস কান্তি বল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আব্দুর শুক্কর খান।

একাত্তরে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং আটপাড়ার মধুয়াখালী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান বলে উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।

২১৮ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে। ১, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাদের দশ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি সোহরাব ফকির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হেদায়েতুল্লাহ পলাতক।

গত ৭ মার্চ উভয়পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য হেদায়েতুল্লাহ আঞ্জু, এনায়েত উল্লাহ মঞ্জু ও সোহরাব ফকিরের (সোহরাব আলী) বিরুদ্ধে ছয় ধরনের অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই। একই বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঞ্জু। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।