বগুড়া সাইবার পুলিশের অভিযান

বিটকয়েন  চক্রের ৩ সদস্য হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার 

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬২ বার।

বিট কয়েনের মত অবৈধ ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্রের ৩ সদস্যকে বগুড়ার সাইবার পুলিশ হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামের মৃত শাহ মোঃ হিরণের ছেলে আহসান হাবিব ওরফে শাহ্ মোঃ তানিম (২২), প্রতিবেশী বাদশা মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া ওরফে কাজী সোহেল (২৭) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার বামনী গ্রামের বেলাল হোসেনের মারুফ হোসাইন ওরফে বিল্লাহ্ (২৫)।
শুক্রবার সকালে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারির পর গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার হয়। তিনি জানান, গ্রেফতার ওই ৩ যুবকের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১৬টি মোবাইল ফোন ও ২০টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই চক্রের ব্যবহৃত ২টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০ এর ১ (খ) ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। বিটকয়েন, বিটকয়েন ক্যাশ, এসকেরিল, লাইটকয়েন, ওয়েবমানি এবং পারফেক্ট মানি নামের এসব মুদ্রা বাংলাদেশে অবৈধ। বাংলাদেশে এ সকল মুদ্রা মূলত জুয়া খেলা কিংবা কালো টাকাকে সরকারের চোখ থেকে লুকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে বাংলাদেশে বিপিএল ও আইপিএল খেলার সময় এ ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার কেনা-বেচা বেড়ে যায়। চক্রটি গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিয়ে তাদের কাছে চাহিদা মত অনলাইন ওয়ালেট বা অ্যাকাউন্টে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাঠায়। আবার কারো কারো কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাঠানোর নামে টাকাও আত্মসাৎ করে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে গ্রেফতার ওই যুবক ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে ইজিপেইডডটকম এবং বিডিডলারক্যাশডটকম নামে দুটি ওয়েবসাইট খুলে অবৈধভাবে ২৭ হাজার ৮০০বার লেনদেন করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ব্যাপারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।