আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও পোস্টার উদ্ধার

বগুড়ার শেরপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চরমপন্থী দলের ২ সদস্য নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ও শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৯ বার।

বগুড়ার শেরপুরে নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লিটন (৩৬) ও আফসার আলী (৪৫) নামে চরমপন্থী সর্বহারা দলের দুই সদস্য নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে ওই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অর্জুনি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর আফসার আলীর বাড়ি সিরাজগঞ্জ উপজেলার তাড়াশ উপজেলার পাইকড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং সর্বহারা দলের কয়েকটি পোস্টার উদ্ধার করেছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

 

বগুড়ার শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে খবর আসে যে, ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে চরমপন্থী সর্বহারা দলের সদস্যরা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লিপ্ত হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি এবং বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যান। তারা সেখানে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।


এর আগে গত ৮ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে ওই ভবানীপুর বাজারেই চরমপন্থীরা টহল পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেছিল। তাদের গুলিতে শেরপুর থানার  এএসআই নান্নু মিয়া (৪২) আহত হন। গুরুতর আহত নান্নু মিয়া বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। সেদিন ওই এলাকা থেকে চরমপন্থীদের লাগানো বেশকিছু পোস্টার এবং ‘গণযুদ্ধ’ নামে একটি পত্রিকাও উদ্ধার করা হয়। পোস্টারগুলোতে পরদিন ৯ এপ্রিল পাবনায় চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণের বিরোধিতা করে লেখা ছিল ‘পাবনায় কয়েকটি বিপ্ল¬বী সংগঠনের নামে রাষ্ট্রীয় চক্রান্তে ছয় শতাধিক সদস্যের নাটকীয় আত্মসমর্পণকে প্রত্যাখ্যান করুণ-মার্কসবাদ, লেনিনবাদ জিন্দাবাদ।’

 

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার গভীর রাতে নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় নাম জিজ্ঞাসা করলে একজন নিজেকে লিটন এবং অপরজন আফসার বলে পরিচয় দেয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দু’জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে চরমপন্থী দলের সদস্যদের ফেলে যাওয়া ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটার গান, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি চাপাতি  এবং ৩টি পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।

শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, পরবর্তীতে অনুসন্ধান চালিয়ে নিহত জানা যায় লিটনের পুরো নাম মোঃ লিটন আর আফসারের নাম আফসার আলী। তারা সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। লাশ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।