বগুড়ায় ক্যান্ট. পাবলিক কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন: বন্ধু আটক

দোস্ত মোহাম্মদ আউয়াল
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫০১৩ বার।

বগুড়ায় নাজিউর রহমান নাহিদ (১৯) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটা দিকে শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ঘাসিড়া-বিরুলিয়া সড়কে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত নাহিদ নারিল্যা গ্রামের মতিউর রহমান মাস্টারের ছেলে। সে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাব জানাতে পারেনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে। সে নিহত নাহিদের এক সময়ের বন্ধু ছিল। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী খুন হওয়ার কথা জানার পর বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ছুটে যান।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, বগুড়া ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাহিদ শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানি স্কুল কেন্দ্র পরীক্ষা দিয়ে দুপুর একটার কিছু পরে বের হয়। সহপাঠীদের সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করে সে জহিরুল ইসলাম তোহা নামে তার এক সহপাঠীকে নিয়ে মোটর সাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
জহিরুল ইসলাম তোহা জানায়, শনিবার তাদের রসায়ন দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে তারা মোটর সাইকেল নিয়ে ঘাসিড়া-বিরুরিয়া সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিল। তাদের মোটর সাইকেলটি ‘ইউনিব্রাদার পোল্ট্রি খামার’-এর সামনে পৌঁছুলে অপরিচিত একজন তাদের পথরোধ করে। এরপর ওই ব্যক্তি তাদের দু’জনকে কেমন পরীক্ষা হয়েছে জানতে চায়। ওই ব্যক্তির সাথে কথপোকথনের সময় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি সাইড থেকে এসে নাহিদের তলপেটে ছুরিকঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের আরেক বন্ধুর সহায়তায় নাহিদকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শজিমেক হাসপাতাল সংলগ্ন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার পর পরই নাহিদ মারা যায়।
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের উপাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নাহিদ আমাদের ছাত্র ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। এই খবর শোনার পর থেকে আমরা ব্যথিত।’
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, নাহিদের নাভির ঠিক নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু এখনও পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্ধুরাই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।

রবিউল ইসলাম নামে এক যুবককে আটকের কথা স্বীকার করে ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, নাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ওই যুবক কয়েকদিন আগে মোবাইল ফোনে নাহিদকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিসও হয়েছিল। সে কারণেই রবিউলকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।