লাইভ: সন্ত্রাসের অভিযোগ, লাঠিসোটা নিয়ে নানুরে পথে বিজেপি কর্মীরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক।
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫২ বার।

মাথা ফাটলো বিজেপি কর্মীর

বীরভূম কেন্দ্রের নলহাটিতে উত্তেজনা। হাবিসপুরের বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। দু’দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মারপিট, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তেই লাঠিচার্জ করে দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে। আনন্দবাজার নিউজ।

লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় ভোটাররা 

ভোট ঘিরে নানুরে তুমুল উত্তেজনা। লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ, ভোটের আগের দিন থেকেই বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে হুমকি, শাসানি দিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার ভোটের দিন বিজেপি সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতেও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এখনও গোটা গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে।

ভোট দিলেন ‘নজরবন্দি’ অনুব্রত

নজরবন্দি অবস্থাতেই ভোট দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে বাইক বাহিনী নিয়ে তাঁর বুথে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘ভোটগ্রহণ চলছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। খুব ভাল ভোট হচ্ছে। নজরবন্দি করলেও তাঁর কিছু যায় আসে না।’’ নজরবন্দির ফলে তাঁর ফোনও জমা দিতে হয়েছে। এ দিন ভোট দেওয়ার পর অবশ্য অনুব্রতর নির্লিপ্ত জবাব, ‘‘একটা ফোন গিয়েছে তো কী হয়েছে, হাজারটা ফোন আছে।’’

ইভিএম-এ আতর!

অভিনব কায়দায় ভোটাররা কাকে ভোট দিলেন তা চিহ্নিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলকোট এলাকার দু’টি বুথের ইভিএম-এ তৃণমুলের প্রতীকে আতর লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ভোট দিয়ে বেরনোর পরই ভোটারদের আঙুল পরীক্ষা করছেন তৃণমূল কর্মীদের। অর্থাৎ আঙুলে আতরের গন্ধ রয়েছে কিনা, সেটা দেখছেন। সেটা থাকলেই ধরে নিচ্ছেন, তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া গত কাল রাত থেকেই তৃণমূলের দেওয়া সিগারেট ও রকমারি খাবার খেয়েছেন বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ভোট কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট!

বুথেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না ভোটারদের। তার আগেই ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোট ব্লকের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়া গ্রাম বুথে (১৩২) এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। অভিযোগ, ভোট দিতে এলেই ভোটারদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট। তার পর তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে। বুথের ধারেকাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। একই অভিযোগ উঠেছে নানুরের একটি বুথেও। 

বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ভাঙচুর

আসানসোলের বারাবনিতে তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বারাবনির এই বুথে বিজেপির এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ওই বুথে যেতেই তৃণণূল কর্মীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে তার আগেই এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। বাবুলের অভিযোগ, তৃণমূল আমাকে এক জায়গায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাকে আটকাতে পারবে না। আমি সব বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বাবুল সুপ্রিয়র অনুগামী-সমর্থকরাই উত্তেজনার সৃষ্টি করেছেন। বুথে ঢুকে তৃণমূলের এজেন্টকে ধমাকনোর অভিযোগও উঠেছে বাবুলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বাবুলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বাবুলের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনারও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোটের হার 

বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যের আট কেন্দ্রে গড়ে ভোট পড়ল ৩৫.১০ শতাংশ। এর মধ্যে বহরমপুর কেন্দ্রে ৩৬.১১%, কৃষ্ণনগরে ৩৪.৮৫%, রানাঘাটে ৩৫.১২%, বর্ধমান পূর্বে ৩৬.৭৮%, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৩৩.৮২%, আসানসোলে ৩৩.৯৮%, বোলপুরে ৩৬.০৪% এবং বীরভূম কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৪.১০%। 

জেমুয়ায় লাঠিচার্জ

ভোট শুরু হতেই আসানসোলের জেমুয়ার ভাদুবালা স্কুলের বুথে তীব্র উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ভোটারদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট দেবেন না তাঁরা। এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদের বুঝিয়েও নিরস্ত করতে না পেরে শেষে লাঠিচার্জ করেন পুলিশকর্মীরা। তবে তার মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারপিট শুরু হয়ে যায়। দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা বুথ চত্বর। ফলে ভোটগ্রহণ শুরুই হয়নি। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এসে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, জেমুয়ার পাঁচটি বুথেই মাত্র এক জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। 

দীর্ঘক্ষণ পর কমিশনের হস্তক্ষেপে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোটারদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় রুট মার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকি, গতকাল রাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ওই বুথের এলাকায় ছিলেন। কিন্তু সকালে ভোট দিতে এসে দেখা যায়, রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হচ্ছে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ভোট সম্ভব নয়।