বেজিংয়ে ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন শি ‘আমাদের সম্পর্কটা লোহার মতো শক্ত’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক।
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬০ বার।

পুলওয়ামা, বালাকোটের পরেও পাকিস্তানের পাশেই রয়েছে চীন। আগামী দিনেও থাকবে। দু’দেশের সম্পর্কটা লোহার মতো শক্ত। যা সহজে ভাঙার নয়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশে দাঁড়িয়ে জোরালো ভাবে এই বার্তা দিল বেজিং। সঙ্গে ইসলামাবাদের উপর এই ভরসাও রাখল, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে তারা যাবতীয় বিরোধ-বিবাদ মিটিয়ে নেবে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আঞ্চলিক শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায়। সুত্র : আনন্দবাজার।

রবিবার, বেজিংয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘প্রতিরক্ষায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সব সময়েই চিনের বন্ধু। চিন আর পাকিস্তানের মধ্যে ‘লৌহ বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক। যা সহজে ভাঙার নয়। দু’দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগুলির সুরক্ষায় বরাবরই একে অন্যকে সমর্থন করে এসেছে। সমর্থন করে চলবেও।’’

চিনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ফোরামের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৫ এপ্রিল বেজিংয়ে আসেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের সম্মেলন শেষ হওয়ার পর গত কাল চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং ও চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াঙের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইমরান। অবাধ বাণিজ্য চুক্তি ও করাচি-পেশওয়ার রেললাইনের সম্প্রসারণ-সহ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে।

পরে বেজিংয়ের তরফে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, দু’দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তাঁর বিবৃতিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বা আঞ্চলিক পরিস্থিতির কতটা কী পরিবর্তন হল, তার উপর কিছুই নির্ভর করছে না। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় বেজিং সব সময়েই ইসলামাবাদের পাশে থাকবে।’’

পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে বালাকোটের ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রশমনে চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী কং শুয়ানইউকে ইসলামাবাদে পাঠিয়েছিল বেজিং।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার নিয়েও চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রীর। চিন ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য দেশই চাইছে মাসুদকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করা হোক। পর পর তিন বার চিন সেই প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা এখনও সম্ভব হয়নি।

বেজিং যেন এ ব্যাপারে তার অবস্থান না বদলায়, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাক প্রধানমন্ত্রী হয়তো তা নিয়ে আলোচনা করেছেন চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তবে বেজিংয়ের সরকারি বিবৃতিতে তার কোনও উল্লেখ নেই।