বগুড়ায় ভেঙ্গে পড়া ভাস্কর্য ‘বীর বাঙালি’ পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ

পুণ্ড্রকথা রিপোর্টঃ
প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট ২০১৮ ১৫:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৩৮ বার।

বগুড়ার বনানীতে ভেঙ্গে পড়া ভাস্কর্য ‘বীর বাঙালি’ পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। সরকারি-বেসরকারি কোন একক প্রতিষ্ঠানের অর্থ কিংবা কোন ব্যক্তির সহায়তা নিয়ে নয় বরং সবার অংশগ্রহণেই তিনি ওই ভাস্কর্য নির্মাণ করতে চান। এজন্য একটি তহবিল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা বৃস্পতিবার বিকেলে ভাস্কর্য নির্মাণ তহবিলে অর্থ প্রদান করেন। বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘নিরাপদ সড়কের জন্য নাগরিক কর্তব্য’ শীর্ষক বিশেষ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ৮০জন প্রশিক্ষণার্থীও ওই তহবিলে অর্থ প্রদান করেন।
প্রায় দুই দশক আগে ওই ভাস্কর্যটি প্রথম শহরের সাতমাথায় স্থাপন করা হয়। ২০০৫ সালে শহরের সড়ক সম্প্রসারণের কারণে ভাস্কর্যটি প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে শহরের দক্ষিণ প্রবেশমুখ বনানীতে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ওই ভাস্কর্যটি ভাংচুর করা হয়। পরে সেটি মেরামত করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬জুন রাতে সেটি আবারও ভাংচুর করা হয়।
ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণের তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করেন ভাস্কর্য পুন:নির্মাণ এবং সকল স্মৃতি সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক রাকিব জুয়েল, বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি সঞ্জু রায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদেরুল ইসলাম মিম পোদ্দার ও প্রচার সম্পাদক মুকুল ইসলাম।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বগুড়ার বনানীতে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী ‘বীর বাঙালি’ নামে যে ভাস্কর্যটি দুই বার ভেঙ্গেছে, সেটি যে কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুনঃনির্মাণ করে দিতে পারেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যখন সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে তখন সেই ভাস্কর্যের গুরুত্ব সকলের কাছেই অনেক বেশি থাকবে।’
ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল মালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন আব্দুল ওয়াদুদ ও বিআরটিএ বগুড়া সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ আহমেদ।