প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকার

শপথ নেবেন না মির্জা ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৮ বার।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চিত করেছেন যে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথ নেবেন না। কৌশলের অংশ হিসেবেই বিএনপির বাকি সাংসদেরা শপথ নিয়েছেন। তিনি যে সংসদে যাবেন না, এটাও তাঁর কথায়, সুচিন্তিত কৌশলের অংশ।

বিএনপির সংসদে যাওয়ার ‘কৌশলের’ সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো যোগসূত্র? মির্জা ফখরুল বললেন, এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মুঠোফোনে এরপর প্রশ্নোত্তর চলে এভাবে: 

প্রথম আলো: একটু আগেই জানলাম, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার আপিল শুনবেন হাইকোর্ট, নথি তলব। মুক্তি আসন্ন?
মির্জা ফখরুল: সংসদে যাওয়ার সঙ্গে এটা প্রাসঙ্গিক নয়।

প্রথম আলো: শেখ হাসিনা এক–এগারোতে প্যারোলে গিয়েছিলেন। আপনারা ভাবছেন কি?
মির্জা ফখরুল: না।

প্রথম আলো: বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের সঙ্গে প্যারোলের দরখাস্ত করা নিয়ে কোনো আলোচনা?
মির্জা ফখরুল: না। কোনো আলোচনা নেই। তাঁরা কিছুই বলেননি।

প্রথম আলো: কিন্তু আপনি বলছেন যে তাঁর দ্রুত উত্তম চিকিৎসা দরকার।
মির্জা ফখরুল: সেটা ঠিক।

প্রথম আলো: সরকারের কোনো পর্যায়েই কি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনায় আপনারা যাননি?
মির্জা ফখরুল: না, আমরা যাইনি। কোনো নেগোসিয়েশন (সমঝোতা) নেই।

প্রথম আলো: সংসদে যোগদানসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে আপনাকে নিঃসঙ্গ দেখা গেছে। জ্যেষ্ঠ নেতারা কোথায় ছিলেন? বিস্মিত ও ব্যথিত চিত্তে বর্জন?
মির্জা ফখরুল: মোটেই তা নয়। সময় ও দূরত্বগত কারণে তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। অন্য কারণ নেই।

প্রথম আলো: অনেকেই বলবেন, আপনাদের সিদ্ধান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক, ভারসাম্যপূর্ণ? 
মির্জা ফখরুল: আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রথম আলো: এর আগে একটি টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছিল, আপনি শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি লিখেছেন। 
মির্জা ফখরুল: সত্য নয়।

প্রথম আলো: যদি সংসদে যাবেনই, তাহলে ঠাকুরগাও-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান কী দোষ করলেন? এখন তাঁর কী হবে?
মির্জা ফখরুল: তাঁর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রথম আলো: ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে?
মির্জা ফখরুল: কোনো সমস্যা নেই। ভালো যাচ্ছে। তাঁর সঙ্গে দ্রুত সাক্ষাৎ করব।

নারী আসন 
সংসদে বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৯ আসন পূরণ হয়ে গেছে। আইন অনুযায়ী, বিএনপি একটি আসন পাবে। বিএনপি এখন সংরক্ষিত নারী আসন নেবে কি না, জানতে চাইলে তিনি এর সম্ভাবনা নাকচ করেননি। দল কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ওয়াকিবহাল সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনে টক শোর পরিচিত মুখ এবং বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম আলোচনায় আছে। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসন থেকে দলের টিকিটপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু পাননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।