আয়োজনে জেলা প্রশাসন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা শুনলো মুক্তিযুদ্ধের গল্প

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯ ১২:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৪ বার।

বগুড়া জেলা স্কুলের  শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে শুনলো রণাঙ্গনের বীরত্বগাঁথা। রোববার সকাল ১০টায় বগুড়া জেলা প্রশাসন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র যৌথ উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কর্মসূচি  'মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন' অনুষ্ঠানের ১১তম আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে শোনে রণাঙ্গনের বীরত্বগাঁথা। সকল শিক্ষার্থীর মাঝে ছিলো জানার প্রবল আগ্রহ। শিক্ষার্থীদের জন্য এমন আয়োজন এক নতুন অভিজ্ঞতা। মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান- মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশাদ সায়ীদ। পিনপতন নিরবতায় শিক্ষার্থীরা শোনে মুক্তিযোদ্ধার কথা। অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিলো স্বতোস্ফূর্ত এবং কুইজ পর্বে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীরা অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধের বই পুরস্কার।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, বগুড়া’র উপ-পরিচালক(উপ-সচিব) সুফিয়া নাজিম। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন- জাতির আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথে গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা ও চর্চার বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করতে সকলকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষাধিক শহীদ ও ছয় লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের  বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন না হলে আজ এভাবে মুক্তির আনন্দ অনুভব করার সুযোগ থাকতো না। বগুড়া জেলা প্রশাসন আগামীতেও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করবে। 

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ। তিনি তার বক্তব্যে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চেতনায় ধারন করে দেশ সেবায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন- বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাক হাবিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র সমন্বয়কারী এ টি এম রাশেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল সহ বই উপহার দিয়ে সম্মান জানানো হয়। অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা উপহার দেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের গল্পের বই। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়,  এ অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে বগুড়া জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে। “মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন” অনুষ্ঠানে এ পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৮৬০জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।