শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার দাবি

সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯ ১২:৪৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪০ বার।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, সন্ত্রাসী কায়দায় পঙ্গু বৃদ্ধ ব্যক্তিকে মারপিট ও গৃহবধূকে উত্যক্ত করাসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় সারিয়াকান্দি উপজেলার হাওড়াখালী গ্রামের জুয়েল রানা বলেন, তার বাবা মতিয়ার রহমান মন্টু একজন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ পঙ্গু ব্যক্তি। তাঁর এক পা নেই। অসুস্থজনিত কারণে অপারেশনের মাধ্যমে পা কেটে ফেলা হয়। এ অবস্থায় তিনি কোন আয় রোজগার করতে পারেন না। আমরা দুই ভাই গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করে সংসার চালাই। একইসঙ্গে সামান্য কিছু করে টাকা সঞ্চয় করতে থাকি। এভাবে মোট এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা সঞ্চয় করে পঙ্গু বাবার হাতে তুলে দেই। এরইমধ্যে ইউপি নির্বাচন চলে আসে। প্রতিবেশি খোকা মন্ডলের ছেলে হেদায়েতুল ইসলাম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী হন। একপর্যায়ে নির্বাচনের খরচ চালাতে ব্যর্থ হয়ে তার বাবার কাছে থেকে উক্ত পরিমান টাকা ধার নেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি গত ১৬ফেব্রুয়ারি উক্ত টাকা চাওয়ায় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমনকি আমার বাবাকে মারার জন্য বাড়িতে হামলা চালায়। তবে আমার পঙ্গু বাবা বাড়িতে ছিল না।

তবে গত ৩০এপ্রিল সকালে আমার পঙ্গু বাবা ধান ক্ষেত থেকে বাড়ি আসার পথে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মারপিট করে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। একইসঙ্গে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। জনাব জুয়েল রানা অভিযোগ করে আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমার বিবাহিত বোনকেও উত্যক্ত করছে ওই চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের যৌন হয়রানির কারণে তার বোন বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু গ্রামের মাতব্বর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আশ্বাসে সপ্তাহখানেক আগে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেছেন। এরপরও চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম পিছু ছাড়ছে না। এমনকি নানা কায়দায় অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়।