এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮২.২০ শতাংশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০১৯ ০৬:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৮ বার।

 সারাদেশে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।  এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গতবারের থেকে এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৭টি, গত বছর ছিল ১০৯টি। খবর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম 

এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন। গতবছর যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন।

দাখিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বেড়েছে ১২ দশকি ১৪ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ জন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশকি ২৪ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন, গতবছর ছিল ৪ হাজার ৪১৩ জন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার (০৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। দুপুর ১২টা থেকে ফল পাওয়া যাবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সার সংক্ষেপ তুলে দেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে চোখের চিকিৎসায় অবস্থান করায় এবার বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে লন্ডন থেকে একটি বাণী পাঠিয়েছেন। সেই বাণী পড়ে শোনান শিক্ষামন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়ে কথা বলেন। তা মাইকে শোনানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা ।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিখিত বা তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ব ইজতেমার কারণে ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ২ মার্চ শেষ হয়।

এছাড়াও আইসিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে একাংশ ভুলে মুদ্রণ হওয়ায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২ মার্চ নেওয়া হয়।