গতবারের তুলনায় পাশের হার বেড়েছে: মেয়েরাই এগিয়ে

জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বগুড়া এবারও বোর্ডে প্রথম: জেলায় সেরা জিলা স্কুল

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ মে ২০১৯ ১০:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৩৭ বার।

এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বগুড়া এবারও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে প্রথম স্থান দখল করেছে। গত বছরের তুলনায় জেলায় পাশের হারও বেড়েছে। তবে বরাবরের মত ছেলেদের চেয়ে মেয়েদেরই পাশের হার বেশি। অন্যদিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে জেলায় শীর্ষস্থান দখল করেছে বগুড়া জিলা স্কুল। আর সবচেয়ে পেছনে পড়েছে বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ।
২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বগুড়ার ৪৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩৫ হাজার ১৯জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ৫৬৯জন ছেলে এবং বাদবাকি ১৬ হাজার ৪৫০জন মেয়ে পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯২ দশমিক ১৪ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়- যা রাজশাহী বোর্ডে তৃতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর জেলার ৮৬ দশমিক ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছিল। এবার পাশের হারে বোর্ড সেরা হয়েছে প্রতিবেশী জেলা জয়পুরহাট। ওই জেলা থেকে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী, পাশের হার ৯২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বগুড়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পিছিয়ে থাকলেও পাশের হারে তারাই এগিয়ে রয়েছে। ১৮ হাজার ৫৬৯ ছেলের মধ্যে পাশ করেছে ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ আর ১৬ হাজার ৪৫০জন মেয়ের মধ্যে পাশ করেছে ৯৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এবারও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে বগুড়ার শিক্ষার্থীরা। এবার বগুড়া থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১৮৬জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ২০১৬ সাল থেকেই বগুড়া বোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা। ওই জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১০৮জন।
জেলায় সরকারি- বেসরকারি প্রথম সারির ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাশ এবং পরীক্ষার্থী অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাচীনতম জিলা স্কুল শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ২৩৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৩১জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। শতভাগ পাশসহ পরীক্ষার্থী অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ২৮০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৬জন বা ৯৫ শতাংশই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৭০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪৬জন বা ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। শতভাগ পাশসহ পরীক্ষার্থী অনুপাতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো হলো: বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজ (১৯৭জন পরীক্ষাথীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৫জন), আরডিএ ল্যাবরেটরী স্কুল ও কলেজ (২৬২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩১জন) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল ও কলেজ (২৮৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০২জন জিপিএ-৫ পেয়েছে)।
শহরের অপর দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ এবং এসওএস হারম্যান মেইনর স্কুল ও কলেজ এবার শতভাগ পাশের রেকর্ড ছুঁতে পারেনি। এসওএস থেকে এবার ৫১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫০জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬জন। বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৩৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩১জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬১জন। বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাদের দুই শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হওয়ার কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে এবার শতভাগ পাশের রেকর্ড অর্জিত হয়নি।