কোরআনের কিছু কথা- ২

কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা অনন্ত  প্রশ্নের উত্তর দেয়

জুবাইর হাসান মোহাম্মদ জুলফিকার আলী
প্রকাশ: ০৬ মে ২০১৯ ১৫:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৯৮ বার।

আল্লাহতায়ালা কোরআন সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করার জন্যে মানবকুলকে আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষ যদি গভীর মনোযোগের সাথে কোরআনের প্রতি লক্ষ করে, তাহলে তারা এর অর্থ ও বিষয়বস্তুর মাঝে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাবে না। আর এই বিষয়টি একমাত্র চিন্তা-গবেষণার মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে। শুধু তিলওয়াত বা আবৃত্তির মধ্যে চিন্তা-গবেষণার অস্তিত্ব নাই। এ কথা ঠিক যে, তিলওয়াতের মধ্যে অনেক বরকত হাসিল হয়, সওয়াব পাওয়া যায়। তবে তা চিন্তা-গবেষণার মতো মানুষের অনন্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার দিশা দেখায় না। প্রতিটি মানুষ কোরআনের ওপর গভীর চিন্তা-গবেষণা করুক, এটাই হলো কোরআনের চাহিদা। কাজেই কোরআন সম্পর্কে   চিন্তা-গবেষণা করা কিংবা সেটার পর্যালোচনা করা শুধু ইমাম-মুজতাহিদদেরই একক দায়িত্ব নয়। এটা সাধারণ মানুষের জন্যেও। তবে চিন্তা-গবেষণার বিভিন্ন স্তর আছে, মানুষের জ্ঞান বুদ্ধিরও অনেক স্তর আছে। ইমাম-মুজতাহিদরা উচ্চ পর্যায়ের চিন্তা গবেষণা করবেন। তারা একটি আয়াত থেকে বহু কিছুর উদ্ভাবন করবেন। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ তাদের নিজ নিজ জ্ঞান বুদ্ধির স্তর অনুযায়ী চিন্তা গবেষণা করবেন। কোরআন নিয়ে চিন্তা গবেষণায় সাধারণ মানুষও অনন্ত  প্রশ্নের উত্তর পেতে পারে।
সাধারণ মানুষ যখন নিজের ভাষায় কোরআনের তরজমা অনুবাদ পড়ে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে। তখন তাতে তাদের মনে আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্বের ধারণা ও ভালবাসা সৃষ্টি হবে। এটাই হলো কৃতকার্য হওয়ার মূল চাবিকাঠি। তবে জনসাধারণের জন্যে ভুল বুঝাবুঝি ও বিভ্রান্তি থেকে অব্যাহতি লাভ করার জন্যে কোনো বিজ্ঞ আলেমের অধীনে ধারাবাহিকভাবে কোরআন পাঠ করাই উত্তম। আর তা সম্ভব না হলে, কোরআনের বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থ অধ্যয়ন করতে হবে। এটা করতে যেয়ে কোনো জটিলতা বা সন্দেহ সংশয় দেখা দিলে, নিজের মন মতো সেটার কোনো সমাধান করা ঠিক হবে না। বরং বিজ্ঞ কোনো আলেমের সাহায্য নিতে হবে। 
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“আমি এ মোবারক গ্রন্থটি তোমার ওপর নাযিল করেছি যাতে করে মানুষ এর আয়াত সমূহের ব্যাপারে চিন্তা গবেষণা করতে এবং জ্ঞানবান লোকেরা (তা থেকে) উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।”-সূরা সা-দ: ২৯। চলবে...