বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে ধারন করতেন: আরমা দত্ত

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯ ১২:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪১ বার।

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সদস্য আরমা দত্ত বলেছেন, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে ধারন করতেন। তার ফিলোসেপিগুলো তিনি বিশ্বাস করতেন। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনি’ থেকে দেখা যায়- যখন মন খারাপ লাগত তখন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি....., ও আমার দেশের মাটি.... তোমার তরে ঠেকায় মাথা....’ কবিতাগুলো পাঠ করতেন।


‘মানবিক বিশ্ব বিনির্মাণে রবীন্দ্রনাথ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার বেলা ১১টায় নওগাঁর আত্রাই পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮ তম জন্মবার্ষির্কীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরমা দত্ত বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের চর্চা না থাকায় অসাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হচ্ছে। মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সকল অসাম্প্রদায়িকতা ভূলে তিনি দেশকে ভালবেসেছেন। মানুষে মানুষে ভেদা ভুলে সকলের মনে তিনি স্থান করে নিয়েছে। সাংস্কৃতিক মানুষকে আপন সত্তায় লালন করে এবং দেশ প্রেমের দিকে এগিয়ে নেয়।


সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনের দিন ব্যাপি পতিসর দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলম এমপি।
প্রধান অতিথি ইসরাফিল আলম এমপি বলেছেন, পতিসর কবির নিজস্ব পরগনা। মানুষের মুক্তি এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য রবীন্দ্রনাথ কাজ করেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন এবং স্বপ্ন পুরন করেছেন। যার কারণে নোবেল বিক্রির সম্পূর্ন টাকা তিনি কৃষি ব্যাংক স্থাপনে ব্যয় করেছেন। তিনি পতিসরে কৃষি নিয়ে এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। এমন জনদরদি ব্যক্তি সারা বিশ্বে বিরল। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মলয় চন্দন মুখোপাধ্যায়, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ও কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আকতার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের  সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানাউল ইসলাম সহ রবীন্দ্র গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। কাছারি বাড়িতে রবীন্দ্র ভক্ত ও অনুরাগীরাদের উপস্থিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। নাগর নদীর তীর ঘেঁষা কাছারি বাড়িতে বসেছে গ্রামীণ মেলা।