ফেসবুকে মাশরাফিকে নিয়ে অশালীন কমেন্ট

বগুড়া মেডিকেলের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিনকে শোকজ

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯ ১৪:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৭৭ বার।

সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ভাষায় কমেন্ট করায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকস্ বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরোজকে অসদাচরণের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে গত ৬ মে ওই নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। উপ-সচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ডা. আইরিন আফরোজকে সরকারি কর্মচারি বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (খ) মোতাবেক কেন দণ্ডিত করা হবে না তা নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। বগুড়ায় চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ এবং স্বাচিপের একাধিক নেতা ঘটনাটি জানলেও এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ভাষায় কমেন্ট করায় দেশের আরও পাঁচটি হাসপাতালের অন্য ৫ চিকিৎসককেও একইভাবে শো’কজ করা হয়েছে। শোকজ নোটিশ পাওয়া পাঁচ চিকিৎসকের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের কন্যা নওগাঁ জেলা হাসপাতালের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলিও রয়েছেন। 
অপর ৪ চিকিৎসক হলেন: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদি হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে তাঁর নিজ জেলা নড়াইল সদর হাসপাতালে পরিদর্শনে যান। হাজিরা খাতায় ৩ চিকিৎসকের স্বাক্ষর দেখতে না পেয়ে তিনি তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তাদের সেই কথপোকথনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে এক পর্যায়ে ডা. আকরাম হোসেনের উদ্দেশ্যে মাশরাফি বিন মুর্তুজাকে বলতে শোনা যায়, ‘ফাইজলামি পাইছেন?.. এখন বলেন আমি আপনারে কি করবো...?’ ওই ঘটনার পর পরই নড়াইল হাসপাতপালের ৪ চিকিৎসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তবে চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজার ওই উক্তি ভাইরাল হওয়ার পর ফেসবুকে তার পক্ষে-বিপক্ষে শত শত কমেন্ট করা হয়। অবশ্য চিকিৎসকদের অনেকে মাশরাফি বিন মর্তুজার এ ধরনের উক্তির সমালোচনা করেন। আর অভিযুক্ত ওই ৬ চিকিৎসক মাশরাফি বিন মুর্তুজাকে আক্রমণ করে কমেন্ট করেন।
৬ মে অভিযুক্ত ৬ চিকিৎসকের নামে পৃথকভাবে ইস্যু করা কারণ দর্শানো নোটিশে ফেসবুকে প্রত্যেকের করা কমেন্ট উল্লেখ করে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ ধরনের উক্তি অনুচিত ও অনভিপ্রেত। তাতে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু আপনার উপরোক্ত আচরণ একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য মাননসই নয় এবং অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী যা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। সেহেতু আপনাকে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথোপযুক্ত দ- প্রদান করা হবে না তা এ নোটিশ প্রাপ্তির ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।’