উদ্ধার হয়নি ৩১ লাখ টাকা

বগুড়ায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট লুটে জড়িতরা ৫ বছরেও ধরা পরেনি

স্টাফ রিপোর্টার ও আদমদীঘি উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯ ০৩:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৪ বার।

বগুড়ার আদমদীঘিতে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা চুরির ঘটনায় জড়িতদের পাঁচ বছরেও সনাক্ত করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যে কারণে উদ্ধার হয়নি চুরি করা প্রায় ৩১ লখ টাকাও। আলোচিত মামলাটি আদমদীঘি থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হয়ে বর্তমানে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) তদন্ত করলেও তারা কোন আশারবানী শুনাতে পারেনি। তবে তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে যেহেতু কাজটি আন্তঃজেলা চক্রের তাই আগামীতে যদি এ ধরনের কোন চক্রকে দেশের কোথাও পাকড়াও করা যায় তাহলেই কেবল আদমদীঘির ওই ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা সম্ভব।
একদল দুর্বৃত্ত সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল রাতে সোনালী ব্যাংকের আদমদীঘি শাখার ভল্ট রুমে ঢুকে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা লুট করে। পরদিন সকালে অফিসে যাওয়ার পর ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত হন। এর পর পরই সোনালী ব্যাংকসহ পুলিশ ও র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে সোনালী ব্যাংক বগুড়া অঞ্চলের তৎকালীন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার শাসমুদ্দিন শরীফসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রথমে আটক এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 
চাঞ্চল্যকর ওই মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন আদমদীঘি থানার তৎকালীন ওসি জহুরুল হক। পরে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমানের ওপর। আদমদীঘি থানা এবং ডিবি পুলিশ তদন্তকালে স্থানীয় এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রিসহ মোট ১৩জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ৮ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু তার পরেও ওই ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে কোন তথ্যই পায়নি পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে ওই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করা হয়। তবে আদালত সেই রিপোর্ট আমলে না নিয়ে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
আলোচিত ওই মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক ছকির উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটির তদন্ত চলছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তদন্তে বলার মত কোন অগ্রগতি হয়নি, তবে চেষ্টা চলছে। লুটের ওই ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা আদৌ সম্ভব হবে কি’না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব। আমরা সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’ কতদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ হতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাজটি আন্তঃজেলা একটি চক্র করেছে। তাদেরকে খোঁজা হচ্ছে। আশাকরি খুব দ্রুত তাদের ধরা সম্ভব হবে।’