মির্জা ফখরুলের আসনে উপনির্বাচন: বিএনপির সামনে ইমেজ রক্ষার কঠিন প্রশ্ন?

বিবিসি
প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯ ০৪:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি বগুড়া ৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে কি-না সে সিদ্ধান্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে নেওয়া হবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন।

এমপি হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় শূন্য হওয়া ঐ আসনে নির্বাচন হবে ২৪শে জুন।

বুধবার নির্বাচন কমিশন শূন্য ঐ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

বগুড়া ৬ আসনটি খালেদা জিয়ার আসন হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু কারাবন্দি খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় ঐ আসন থেকে মির্জা ফখরুল নির্বাচনে অংশ নেন।

এই আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বিএনপির জন্য?

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী মনে করেন, "যে অবস্থায় বিএনপি এখন পড়েছে তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন তাদের জন্য কঠিন ব্যাপার হবে।"

"যেজন্য আপনারা (বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে) বলছেন নির্বাচনই হয়নি এবং সেটা দেখিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলেন না। আবার ঘুরে গিয়ে সেটার ওপর নির্বাচনে অংশ নেবেন - সেটা তো স্ববিরোধী।"

তার মতে, এই আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার মানে হবে তাদের "১৮০ ডিগ্রি টার্ন" করার মতো।

"যারা বলছে নির্বাচন আমরা মানিনা তারা ঘুরে গিয়ে আবার উপনির্বাচনে অংশ নেবে সেটা তো বিএনপির ইমেজের সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"

বগুড়া ৬ আসনে জয়লাভ করেও মি. আলমগীর শপথ নেন নি। তার দল থেকে জয়ী হওয়া অপর চারজন এমপি দলের সম্মতিতেই শপথ নিয়েছেন।

সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, "বিএনপির সংসদ সদস্যরা যে সংসদে গেছে সেটা নিয়ে জনমনে বা বিএনপি সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে।"

যদিও মিস্টার আলমগীর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছেন, তবে দিলারা চৌধুরীর বিশ্লেষণ অনুসারে দলটির নেতাদের কতটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সেটাও উঠে আসে।

বিএনপি থেকে নির্বাচিত চারজন এমপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে সংসদে যোগ দেন বলে দল থেকে জানানো হয়।

বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী বলেন, "তাদের সবকিছু স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় না। স্থায়ী কমিটির ওপরেও একজন আছে যিনি বিদেশ থেকে সিদ্ধান্ত দেন।"

"সাধারণ যেসব উপকরণ আমরা ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করে থাকি সে অনুসারে বাংলাদেশের রাজনীতি পর্যালোচনা করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। আর সত্যিকারের পর্যালোচনা করতে গেলে অনেক কিছু উঠে আসে যেটা আমরা ওপেনলি (খোলামেলাভাবে) বলতে পারি না।"