নুসরাত হত্যা: ফেনীর এসপি জাহাঙ্গীর প্রত্যাহার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মে ২০১৯ ১৩:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮২ বার।

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা। খবর সমকাল অনলাইন 

তিনি বলেন, এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে রোববারের মধ্যেই ফেনী ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার নুসরাত হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার দুই এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়। তারা হলেন- এসআই মো. ইউসুফ ও মো. ইকবাল আহাম্মদ। ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জে ও ইকবালকে খাগড়াছড়িতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার আগে নুসরাতকে হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাসপেন্ড করা হয়। ২০১৮ সালের সংশোধিত বিধিমালা (শৃঙ্খলা ও আপিল) অনুযায়ী বুধবার তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ সদর দফতর।

সোনাগাজীর ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর তদন্তের জন্য যে কমিটি গঠন করেছিল সেই প্রতিবেদনে এসপি, ওসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। 

পুলিশ সদর দফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ওসি এবং দুই এসআইকে সাসপেন্ড করার মধ্য দিয়ে তারা এখন বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন। যাদের অন্য যেসব ইউনিটে সংযুক্ত করা হয় তা শাস্তির অংশ। এটা কোনও বদলি নয়। সংযুক্তিকালে তাদের কোনো দায়িত্ব প্রদান করা হয় না।

২৭ মার্চ এক ছাত্রীকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিপীড়ন করেছে- এটা জানার পর সোনাগাজী থানার এসআই ইকবাল হোসেন মাদ্রাসায় অধ্যক্ষর কক্ষে যান। ওই সময় নুসরাত ও তার বান্ধবীদের সেখানে ডেকে নেওয়া হয়। সিরাজকে দেখে সেখানে অচেতন হয়ে পড়েন নুসরাত। তখন এসআই ইকবাল নুসরাতকে বলেন, 'এই মেয়ে ঢং করো না। তোমার সঙ্গে এমন কিছু হয়নি যে বেহুশ হয়ে যেতে হবে। এগুলো আমরা জানি।'

অভিযোগ আছে- শুরু থেকেই এসপি- এডিএম এবং ওসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজাতে চেয়েছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ওসি জানিয়েছিল, নুসরাতের ঘটনা আত্মহত্যা হতে পারে। এসপিও শুরু থেকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। এ ঘটনার তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্রাট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এরই মধ্যে ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে।