‌‘কারাগারে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মে ২০১৯ ১৩:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৩ বার।

কারা মহাপরিদর্শক এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, কারা অভ্যন্তর হতে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনোরূপ সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শৃঙ্খলা ও মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করতে হবে। খবর দেশ রুপান্তর 

তিনি রোববার সকালে গাজীপুরে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণের প্যারেড গ্রাউন্ডে ১১তম ডেপুটি জেলার ও ৫৫তম কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন। 

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, “কারাগারে নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগকে সফল করতে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

১১তম ডেপুটি জেলার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ২৬ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারীসহ মোট ৫২জন ডেপুটি জেলার এবং ৫৫তম কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ৩২২ জন পুরুষ কারারক্ষী প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন।

অন্যান্যদের মধ্যে কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. বজলুর রশীদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি ও মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২ এর জেলার তারিকুল ইসলামসহ কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, “বন্দিদের কল্যাণে রমজান মাস হতে বন্দিদের ইফতারিতে বরাদ্দের পরিমাণ ১৫ টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৩০ টাকা করা হয়েছে। সকালের নাস্তা রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে ২ দিন খিচুড়ি, ১ দিন হালুয়া-রুটি ও ৪ দিন সবজি-রুটি সরবরাহ করা হবে।

বন্দিদের মাঝে সরবরাহকৃত ৩টি কম্বলের মধ্যে ১টি কম্বলের পরিবর্তে প্রতিজন বন্দিকে ১টি করে বালিশ সরবরাহ করা শুরু হয়েছে।

চলতি বছর কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৬ হাজার হতে ৪০ হাজার ৬৬৪তে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া ১৬টির স্থলে বর্তমানে ৩৮টি ট্রেডে ২৯ হাজার ৬৭৩ জন বন্দিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।