সান্তাহারে পরকীয়া ঘটনায় বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাতে ভাংড়ি ব্যবসায়ী নিহত

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মে ২০১৯ ১২:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৪ বার।

আদমদীঘির সান্তাহার পশ্চিম লকু কলোনী এলাকায় পরকীয়ার জেরধরে বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাতে বাদল (৩৫) নামের এক ভাংড়ি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল নওগাঁর কালিতলা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে সান্তাহার পশ্চিম লকু কলোনী দীঘিরপাড় এলাকার জামাল মিস্ত্রীর বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বসবাস ও ভাংড়ি ব্যবসা করে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, নওগাঁর বালুডাঙ্গা হাজি আমবাগানের আফতাব আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম ও হাট নওগাঁর শহিদদুল ইসলামের ছেলে বাদল দুই বছর আগে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় থাকা কালে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তারা জামিনে মুক্ত হয়ে বন্ধুত্বের সুবাদে একে অপরের বাসায় যাতায়াত করে। এক পর্যায়ে রেজাউল ইসলাম ও বাদলের স্ত্রীর মধ্যে উভয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় ১ বছর আগে নিহত বাদলের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী নার্গিস বেগমকে পালিয়ে নিয়ে রেজাউল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে। এর ৬ মাস পর রেজাউল ইসলামের গর্ভবতি স্ত্রী ২ সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমকে অপর বন্ধু ভাংড়ি ব্যবসায়ী বাদল পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। পরকীয়ার টানে একে অপরের স্ত্রীকে বিয়ে করায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। বাদল বিয়ে করার পর তার স্ত্রী ফাতেমা পূর্বের স্বামী রেজাউল ইসলামের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখায় বাদল ক্ষিপ্ত হয় এবং রেজাউল ইসলামের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। নিহত বাদলের বাবা শহিদুল ইসলাম জানায়, গত বুধবার দুপুেের রেজাউল ইসলাম সন্তান দেখার অজুহাতে বাদলের ভাড়া বাসায় গিয়ে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে যায়। এরপর রাত ৮টায় তারাবি নামাজের সময় রেজাউল ইসলাম বাদলের ভাড়া বাসায় অতর্কিত প্রবেশ করে বাদলকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। রাতেই আহত বাদলকে প্রথমে নওগাঁ সদর ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত ১২টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আদমদীঘ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।