মদপানের কারণে ছাড়াছাড়ি হয় কারিনার মা-বাবার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৯ ০৯:৪৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩২০ বার।

বলিউডের কাপুর পরিবারে নিজের প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ছেলে রণধীর কাপুর। অন্যদিকে গ্ল্যামারাস নায়িকা ববিতা। তাদের প্রেম কাহিনি ছিল ওই সময়ের চর্চার বিষয়। কারণ কাপুর বংশে এর আগে কোন নায়িকা পুত্রবধূ হননি।

‘মিস্টার ৪২০’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক হয় রণধীরের। পুরোপুরি নায়ক হয়ে আসেন ‘কাল আজ অউর কাল’ ছবিতে। বক্স অফিসে ছবিটি ব্যাপক সাড়া পায়। পাশাপাশি কাছাকাছি আসেন ওই সিনেমার নায়িকা ববিতা শিবদাসানির।

সেই ছবির সেটেই পরিচয় তাদের। রণধীর ছিলেন পাঞ্জাবি, আর ববিতা ছিলেন সিন্ধি। তবে কাপুর পরিবার একেবারে বেঁকে বসে সম্পর্কের কথা শুনে। কিন্তু রণধীরের এক কথা- ববিতার জন্য পরিবারও ছাড়তে রাজি।

যদিও রণধীরের বাবা রাজ কাপুর বেশ পছন্দ করতেন ববিতাকে। তবে ছেলের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে।

অনেক বছর গোপন সম্পর্ক রাখার পর রণধীর পরিবারকে বোঝাতে পারলেন, ববিতাকে ছাড়া বাঁচবেন না। রক্ষণশীল ওই পরিবার ববিতাকে একটা বিশেষ শর্ত দেয় বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যদিও তা কখনো প্রকাশ্যে আসেনি।

১৯৭১ সালে সাদামাটাভাবে বিয়ে করেন রণধীর-ববিতা। শুধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কয়েকজন বন্ধুও।

বিয়ের পর ববিতা সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেন। ১৯৭৪ সালে জন্ম হয় বড় মেয়ে কারিশমা কাপুরের। ওই সময় থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল দম্পতির। রণধীরের মদের নেশা এর কারণ।

তারা একটা সময় আলাদা থাকতেও শুরু করেন। পরে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে একসঙ্গে সংসার শুরু করেন। ছোট মেয়ে কারিনার জন্ম হয় ১৯৮০ সালে।

রণধীরের মদের নেশা বাড়তে তাকে আবারও। ববিতার সঙ্গে তার এক পুরুষ বন্ধুর ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জনও উঠে। সব মিলিয়ে কাপুর পরিবার থেকে ববিতা অভিমান করে আলাদা থাকতে শুরু করেন মেয়েদের নিয়ে।

অবশ্য কারিশমা-কারিনা একটু বড় হতে সন্তানদের কারণেই আবারও পরস্পরের কাছে আছেন রণধীর-ববিতা। দুই মেয়ে এখন নামজাদা নায়িকা। কাপুর পরিবারের মেয়ে হিসেবে কারিশমা প্রথমবার অভিনয়ে আসেন। তার পথ ধরেন কারিনা।