কিছু নেতা চান না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: অলি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯ ০৬:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৬ বার।

বিএনপিতে কিছু নেতা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এলডিপির ইফতার মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি। অলি আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কারণ কিছু ব্যক্তি চায় না খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক।খবর যুগান্তর অনলাইন

কারও নাম উল্লেখ না করে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেয়াল যদি নিচু হয়, ছাগল লাফ দিয়ে অনেক সময় দেয়ালের উপরে উঠে যায়। তখন পাশে হয়ত মালিক দাঁড়িয়ে থাকেন। দেখা যায় অনেক সময় ছাগলের উচ্চতা মালিকের উচ্চতা থেকে অনেক বেশি হয়। ফলে ছাগল মনে করে হয়ত আমি মালিকের থেকে বেশি উঁচু। এ ধরনের রাজনীতিতে অনেক ছাগল আছে। আর ছাগলগুলো মনে করে খালেদা জিয়ার থেকেও তারা বড় নেতা। সুতরাং খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হলে অনেকের অসুবিধা হতে পারে।

২০ দলের শরিক এলডিপি প্রধান আরও বলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দেশব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হবে। কারণ আমরা মনে-প্রাণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।

এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের পরিচালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শওকত মাহমুদ, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত; ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতের আবদুল হালিম, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এমএম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টির (জাফর) জাফরুল্লাহ লাহরী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মো. ফরিদউদ্দিন, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, বিএমএলের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, আবু মহি মুসা, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের প্রমুখ। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।