বগুড়ায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করলো গাক

অরূপ রতন শীল
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৫৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৫৬ বার।

বগুড়ায় হত দরিদ্র পরিবারের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)। সোমবার দুপুরে শহরের বনানী এলাকায় সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ১২ হাজার টাকার একটি করে চেক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য দেন গাকের নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোখলেছুর রহমান, বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম আমিরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। সভাপতিত্ব করেন গাকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ আফজাল হোসেন।

১৯৯২ সালে বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত গাক দেশের ৩৫ টি জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও কৃষি ঋণ প্রদান, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধ, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতায়ন এবং বয়সভেদে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। কাজ করে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও সংস্থাটি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকে।
গাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহায়তায় ঋণ কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগী সদস্যদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যারা চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে তাদেরকেই শিক্ষা বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয়।
সোমবার শিক্ষা বৃত্তি প্রদানকালে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকার যে নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে তাতে স্বকর্মসংস্থানের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। যাতে তারা চাকরির পেছনে না ছুটে বরং উদ্যোক্তা হয়ে নিজেরাই অন্যদের চাকরি দিতে পারে।’
গাকের নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ২০১২ সাল থেকে তারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনে সক্ষম হবে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গাকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে।