অবৈধ সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গিয়েছিল

বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০ মে ২০১৯ ০৮:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৯৭ বার।

বগুড়ার শিবগঞ্জে চৈতী রাণী (৩২) ও কনক চন্দ্র রায় (২০) নামে প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছেন। রোববার দিবাগত রাত দু’টার দিকে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গাংনগর মাঝপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জন সম্পর্কে চাচী-ভাতিজা। 
পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। জানাজানি হওয়ায় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহননকারী চৈতী রাণী মাঝপাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক শুবন্ধু রায়ের স্ত্রী এবং কনক একই গ্রামের দর্জি শ্রমিক অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে। সোমবার সকালে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুই সন্তানের জননী চৈতী রাণীর স্বামী শুবন্ধু রায় মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। কনক চন্দ্র রায় তার প্রতিবেশী ছিল। গ্রাম সম্পর্কে কনক চৈতী রাণীকে কাকী বলে ডাকতো। এক সময় দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তৌফিক জানান, ওই দু’জনের সম্পর্কের কথা স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। এরপর দু’জনকে শাসানোও হয়েছিল। পরে কনক চন্দ্রকে তার বাবা-মা বিয়ের দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে তারা এক সঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, কনক ও চৈতী রোববার রাত আনুমানিক দু’টার দিকে তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে একটি পাট ক্ষেতে গিয়ে মাছ নিধনের গ্যাস ট্যাবলেট খায়। এরপর চৈতী রাণী দ্রুত নিস্তেজ হয়ে পড়লেও কনক ছটফট করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে বাঁচার জন্য চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাতেই খবর পেয়েছিলাম। তবে লাশ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।’