কথিত প্রেমিকের নেতৃত্বে কিশোরীকে পাঁচদিন ধরে দলবেঁধে ধর্ষণ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মে ২০১৯ ১৩:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৬ বার।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) পাঁচদিন বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গণধর্ষণ করেছে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। গত ১৫ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত এই কুকর্ম করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহায়তা ও ধামাচাপায় জড়িত থাকার অভিযোগে কটিয়াদীর লোহাজুরি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদকে (৩৫) মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কটিয়াদী মডেল থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।খবর দৈনিক কালের কন্ঠ

কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর সঙ্গে উত্তর লোহাজুরী গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে মো. সুমনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৫ মে রাত সাড়ে আটটার সময় সুমন মেয়েটিকে ফোন করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনে। পরে সুমন ও তার বন্ধু লোহাজুরি ইউনিয়নের দশপাখি গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে শোভন (২৩) মোটরসাইকেলে করে পূর্বচর পাড়তালা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন দোতলা বাড়ির নিচতলায় একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে রাতে কথিত প্রেমিক সুমন, শোভন ও পূর্বচর পাড়াতলার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামীম (২৫) দলবেঁধে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ওই রাতেই তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর আরও তিনদিন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। গত ১৯ মে রাত আটটার দিকে কিশোরীকে আসামিরা তার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায়।

মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন। 

কটিয়াদী মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলার পর ইউপি রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের অফিসে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫এ সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।