ছাত্রলীগনেত্রীকে ফোন করা সেই প্রতারক গ্রেপ্তার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মে ২০১৯ ১৩:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৫ বার।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম ব্যবহার করে কথা বলা প্রতারক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ।

মো. ওসমান (২৬) নামের ওই যুবককে সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ এ তথ্য জানিয়েছেন।   

ওসমানের বাড়ি খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি হলেও থাকেন ঝর্ণাপাড়া এলাকায়।

মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ কর্মকর্তা শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী নাজিউর রহমান শিকদার ওরফে অনিক থানায় এসে অভিযোগ করেছিলেন, উপমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো ব্যক্তি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা দাবি ও হুমকি দিয়ে আসছে।

রউফ জানান, গ্রেপ্তার ওসমানই নিজেকে উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন।

তিনি ওসমান শনিবার উপমন্ত্রী নওফেল পরিচয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণী দিশাকে ফোন করে কমিটিতে পদ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।    

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রাবণী দিশা তাকে ‘অপহরণের চেষ্টার’ অভিযোগ তোলেন।

ওসমান এর আগে গত ১০ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলিকে ফোন করে পদ ধরে রাখতে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রউফ বলেন, 'এটলির বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা ওসমানের সন্ধান পাই। পরে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণীর করা সাধারণ ডাইরিতে যে নম্বর থেকে নওফেল পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করার কথা বলা হয়েছে সেটির সাথে ওসমানের নম্বরটির মিল পাই।'

শ্রবাণীর সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করা হয় ওসমান সে বিষয়েও পুলিশকে তথ্য দিয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রউফ।
ওসমানের দেওয়া তথ্য মতে, একটি ফেইসবুক আইডি থেকে নওফেলের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী রিমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে যুক্ত হন তিনি। পরে তার সাথে আবার নওফেল পরিচয় দিয়েও কয়েকবার কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার পরে রোকায়ের হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণীর ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ওসমান নওফেলের ছোট ভাই সেজে ম্যাসেঞ্জারে রিমাকে জানান, শ্রাবণীর ওপর হামলার ঘটনায় নওফেল ব্যাথিত হয়েছেন। এসময় রীমাকে শ্রাবণীর বাসায় গিয়ে নওফেলের সাথে কথা বলিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন ওসমান।

পরে রিমাও শ্রাবণীর বাসায় গিয়ে নওফেল মনে করে ওসমানের সঙ্গে মোবাইল নম্বরটিতে কথা বলিয়ে দেন।

ওসমান পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে দারুল ফজল মার্কেটে আওয়ামী লীগের অফিসে যাতায়াত করতেন। সেখানে নেতাকর্মীদের আচরণ লক্ষ্য করে অনেকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতেন।

তিনি আরও বলেন, ওসমান নিজেকে নওফেল পরিচয় দিয়ে অন্যদের সাথে কথা বলার সময় বিশ্বাস অর্জন করতে নিজের ইমো আইডিতে নওফেলের নাম ও ছবি ব্যবহার করেছেন, যাতে কেউ তার নম্বরটি সেইভ করলে নওফেলের নাম ভেসে উঠে।