টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মে ২০১৯ ১৩:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৯ বার।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চলন্ত বাসে এক পোশাক কর্মীকে গণধর্ষণের মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। তিন আসামির উপস্থিতিতে দেওয়া এ রায়ে বিচারক একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। খবর সমকাল অনলাইন 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিনিময় পরিবহনের বাস চালক হাবিবুর রহমান নয়ন (২৮), সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল (৩৮), হেলপার আব্দুল খালেক ভুট্টো (২৩), ও মোহাম্মদ আশরাফুল (২৬)। এদের মধ্যে সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল পলাতক।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম জানান, ২০১৬ সালের পহেলা এপ্রিল গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে কর্মরত এক পোশাককর্মী গৃহবধূ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর পাঁচটার দিকে ‘বিনিময় পরিবহনের’ একটি বাসে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেন।

তিনি জানান, এ সময় বাসে আর কোনও যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসটি কিছু দূর যাওয়ার পর বাসের কর্মীরা জানালা দরজা বন্ধ করে দেয়। গাড়ির চালক হাবিবুর রহমান নয়ন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে পালাক্রমে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারও তাকে ধর্ষণ করে।

নাসিমুল আক্তার জানান, বাসটি ঢাকার উদ্দেশে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের একটি ফাঁকা জায়গায় ওই গৃহবধূকে নামিয়ে দিয়ে বাসের চালক ও অন্যরা পালিয়ে যায়। মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এসে ওই নারী তার স্বামীকে জানালে তিনি তাকে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড আসতে বলেন। পরে তার স্বামী তাকে টাঙ্গাইল এনে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে ওইদিনই গ্রেফতার করে। পরে নির্যাতনের শিকার নারীর বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় এবং ছয়জনকে অব্যাহতি দেয়। গ্রেফতার তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ওই গৃহবধূ আদালতে জবানবন্দ দেন।