সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সংবাদ সম্মেলন

আমিনুলকে আইনী সহায়তায় বাধা দিলে ঈদের পর দিন বগুড়ায় সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ মে ২০১৯ ০৭:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৮০ বার।

বগুড়ায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার পরিবহন মালিক নেতা আমিনুল ইসলামকে আইনী সহায়তা প্রদান না করার সিদ্ধান্ত থেকে জেলা আইনজীবী সমিতি সরে না এলে ঈদের পরদিন থেকে জেলায় বাস ও ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বগুড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান আকন্দ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। 
বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি আকতারুজ্জামান ডিউক, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামছুদ্দিন শেখ হেলালসহ সড়ক পরিবহন-মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতার আমিনুল ইসলাম ওই সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক।
বগুড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও বিএনপি নেতা মাহবুব আলম শাহীন গত ১৪ এপ্রিল রাতে শহরের উপ-শহর বাজার এলাকায় খুন হন। ওই হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী ১৬ এপ্রিল বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 
ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১৫ এপ্রিল বগুড়া জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোন আসামীকেই তাদের সমিতিভুক্ত কোন সদস্য আইনজীবী আইনী সহায়তা দিবে না।
ওই সিদ্ধান্তের কারণে অ্যাডভোকেট শাহীন হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসামী বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর একাধিকবার আদালতে নেওয়া হলেও কোন আইনজীবী তার পক্ষে দাঁড়াননি। ফলে ধার্য্য তারিখে আমিনুলকে নিজেই নিজের মামলার শুনানী করতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আসাদ নামে এক আইনজীবী আসামীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নিতে চাইলেও কতিপয় আইনজীবী তাকে মারপিট করে আদালত থেকে বের করে দেন। বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের আইনী সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বগুড়ার আইনজীবীরা যা করছেন তাতে আমরা মর্মাহত। তিনি বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আমাদের প্রতিনিয়ত আইনজীবীদের এমন আচরণ নিয়ে আমাদের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই আমরা জরুরী সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আইনজীবী সমিতি যদি তাদের অন্যায় আচরণ থেকে নিজেদের গুটিয়ে না নেন তাহলে ঈদুল ফিতরের পরদিন থেকে আমরা বাস, ট্রাক, পিক-আপ, সিএনজি ও প্রাইভেট গাড়ির শ্রমিকবৃন্দসহ আমরা যারা মালিক তারা গাড়ি চালাব না আর শ্রমিকরাও তাদের কর্মস্থলে যাবে না।’ তিনি তাদের ঘোষণা বাস্তবায়নে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করে আরও বলেন, ‘অন্যথায় পরিবহন ব্যবসায় কোন অরাজকতা সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব  জেলা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নিবে না।’