১৭৫ বছর জেল হতে পারে অ্যাসাঞ্জের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৯ ০৮:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৪ বার।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আরও ১৭টি অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এসপিওনাজ অ্যাক্টে এই সব অভিযোগ তোলা হয়েছে। যার কারণে অ্যাসাঞ্জের মাথায় ঝুলছে ১৭৫ বছর পর্যন্ত সাজা। খবর আরটি ও রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসা এই সব অপরাধের মধ্যে রয়েছে বেআইনিভাবে গোপন সূত্রের নাম প্রকাশ। গোপন তথ্যভান্ডারে প্রবেশে দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক তথ্য বিশ্লেষক চেলসিয়া ম্যানিং-এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়েছে।

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একটি ফৌজদারির মামলার এক মাসের মাথায় নতুন ১৭টি অভিযোগের খবর জানা গেল।

শুরুতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ম্যানিং-এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকারি কম্পিউটারে প্রবেশের। ২০১০ সালে উইকিলিকস আফগানিস্তান ও ইরাক যুক্ত সম্পর্কিত লাখখানেক নথি প্রকাশ করে দেয়।

এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অপরাধের অভিযোগ উঠল। এর জন্য তাকে কয়েক দশকের সাজার মুখোমুখি হতে পারে। যা ১৭৫ বছরের মতো গড়াতে পারে।

এই প্রসঙ্গে অ্যাসাঞ্জের আমেরিকান অ্যাটর্নি ব্যারি পোলকের মত, এই সব অভূতপূর্ব অভিযোগ বলে দিচ্ছে সাংবাদিকদের তথ্য জানানোর চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার কী পদক্ষেপ নেবে।

যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগ জানায়, অ্যাসাঞ্জ শুধু ম্যানিং-কে গোপনীয় নথি চুরিতে উদ্বুদ্ধই করেনি- আফগান, ইরাকের বিভিন্ন ব্যক্তি, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা, মানবাধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছিল।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অ্যাসাঞ্জকে সূত্রগুলোর পরিচয় প্রকাশ না করার কথা বলে। কিন্তু উইকিলিকস তা অগ্রাহ্য করে।

২০১০ সালে ম্যানিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে ২০১৩ তার সাজা ঘোষিত হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার শাস্তি ৩৫ বছর থেকে ৭ বছরে নামিয়ে আনেন। তবে অ্যাসাঞ্জ বিরুদ্ধে বিচারকদের সামনে সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় এখনো জেলে আছেন ম্যানিং।

কয়েক বছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার পর মাসখানেক আগে যুক্তরাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করে অ্যাসাঞ্জকে। বর্তমানে তিনি দেশটির জেলে আটক আছেন।