বেহুলার বাসরঘরের দরজার ছিদ্রের কথা আ’লীগ ভুলে গেছে: রিজভী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৯ ১১:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৫ বার।

আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপদ মনে করলেও তারা বেহুলার বাসরঘরের দরজার ছিদ্রের কথা ভুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার প্রধানের নির্দেশেই জামিনযোগ্য মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আটকে রেখে মুক্তিতে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকারের বাধার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলছে না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার আগুনে দেশনেত্রীর জীবন এখন সংকটাপন্ন।

‘আমরা দেশনেত্রীর অবনতিশীল শারীরিক অবস্থা নিয়ে বারবার তার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানালেও সরকার গায়ের জোরে সেই দাবিকে অগ্রাহ্য করছে।’

‘বেগম জিয়া বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আসলেই আওয়ামী সরকারের ওপরেই নির্ভর করছে বেগম জিয়ার জীবন-মৃত্যু। তারা দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়েও বিদ্রুপ করছেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে আকাশছোঁয়া অহংকারে ভুগছেন। অহংকারের কারণে তাদের পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এসব বক্তব্য অমানবিক ও মনুষ্যত্বহীন। এরা নিজেদের ক্ষমতাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপদ মনে করলেও বেহুলার বাসরঘরের দরজার ছিদ্রের কথা ভুলে গেছে।

রিজভী বলেন, বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই অবনতিশীল যে, তিনি বর্তমানে বিছানা থেকেও উঠতে পারছেন না। অথচ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় মিডিয়ার সামনে ভিন্ন ধরনের কথা বললেও ভেতরে ভেতরে বেগম জিয়ার চিকিৎসা ও অসুস্থতা নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা করে যাচ্ছেন।

‘বাস্তবে খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। সরকারের অবহেলায় এবং প্রতিহিংসা পূরণের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কোনো ক্ষতি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।’

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরজাহান ইয়াসমিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মানব উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন আতিকা, মহিলা দল নেত্রী মুকুল আক্তার অনা, শাহজাদী কহিনুর পাঁপড়ী, এলিজা মুন্নী, শাহিদা মির্জা, মুনমুন আক্তার, নীলুফার ইয়াসমিন, শিল্পী রেজা, রুমা আক্তার, আজমেরী আজিম, তানজীম ইসলাম লিলি, মম আক্তার, মাসুদা খান লতা, নাজিয়া হক রুনা, রুখসানা মির্জা প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এদিকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মসূচি শেষে একই দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহসভাপতি ইউনুস মৃধা, নবী উল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মীর হোসেন মিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন ভুঁইয়া নান্টু, জাফর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাই পল্লব, বংশাল থানা বিএনপি নেতা তাইজুদ্দিন আহমেদ, সূত্রাপুর থানা বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ, ডেমরা থানা বিএনপি নেতা আবুল হাশেম, ধানমণ্ডি থানা বিএনপি নেতা কাবিরুল হাসান, পল্টন থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ পাটোয়ারী, কদমতলী থানা বিএনপি নেতা বাদল রানা, সূত্রাপুর থানা বিএনপি নেতা আক্তার লালবাগ থানা বিএনপি নেতা সুইটসহ বিভিন্ন থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা।