বিআরটিসির আগের সুনাম এখন আর নেই: কাদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯ ১০:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৫ বার।

বিআরটিসি (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) কর্মকর্তাদের সৎভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিআরটিসির আগের সুনাম এখন আর নেই। রমজান মাস সংযমের মাস, এই মাসে ইনকামটা একটু কম করলে কী হয়? বিআরটিসি যেন সুনামের ধারায় ফিরে আসে, সেদিক বিবেচনা করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। খবর যুগান্তর অনলাইন 

রোববার দুপুরে বিআরটিসি ভবনে ‘বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ শীর্ষক পর্যালোচনা ও মতবিনিময়সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে গ্র্যাচুইটির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঈদের সময় সরকারি এ পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারি গাড়িতে যদি এমন হয়, তা হলে বেসরকারি গাড়ির কী হবে?

বিআরটিসির সেবায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটিসিকে আমি দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই না। বিআরটিসির বাসগুলো এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, এসি নষ্ট হয়ে যায়, জানালার কাচ থাকে না, এটি কেন? যারা এর দায়িত্বে আছেন তারা কি দেখেন না? বিআরটিসি দেউলিয়া হলে আপনারাও দেউলিয়া হয়ে যাবেন।

বিআরটিসির বহরে নতুন আড়াই শতাধিক বাস যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আগের বিআরটিসির বাসগুলোর সঙ্গে নতুন ২৫৩টি বাস যুক্ত হওয়ায় আপনারা নতুন শপথ করুন, বিআরটিসিকে আকর্ষণীয় করতে হবে।

তিনি বলেন, এবারের ঈদে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১ হাজার ১৪২টি বাস চলাচল করবে। পুরোনো ৮৮৯টি বাসের সঙ্গে ২৫৩টি বাস নতুন করে যুক্ত হয়েছে। ঈদের সময় গণপরিবহনের সংকট নিরসনে বিআরটিসি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় দুর্ভোগের জায়গাগুলোতে এবার যাত্রা অনেক সহজ ও স্বস্তির হবে। তবে গাজীপুরে সড়কে সমস্যা রয়েছে। আমি বলে দিয়েছি, গাজীপুরের সড়কে ঈদ পর্যন্ত কোনো পাইলিং হবে না। এখানে কিছুটা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া বাকি রাস্তা যান চলাচল উপযোগী রয়েছে। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে সড়কে যানজট থাকার কথা নয়।

মন্ত্রী বলেন, টঙ্গী-গাজীপুরের সড়কের যানজট নিরসনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে।

এ কমিটি যানজট নিরসন করতে পারবে বলে আশা করছি। এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।

টঙ্গী-গাজীপুর সড়কের যানজট নিরসন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মেট্রোলিটনের পুলিশ কমিশনার, বিআরটিএ কর্মকর্তা ও রুট ট্রানজিটের প্রকল্পের পরিচালক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কপথে একটা স্বস্তিদায়ক যাত্রা যেন নিশ্চিত করতে পারি, সে জন্য এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক পরিবহনে বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।