টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ধূমপান করছে শিশুরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯ ১২:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৪ বার।

চট্টগ্রাম বিভাগের ৯০ শতাংশ স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে নির্বিঘ্নে বিক্রি হচ্ছে সিগারেটসহ বিভিন্ন তামাকপণ্য। এসব তামাক বিক্রয় কেন্দ্র শিশুদের ধূমপায়ী বানানোর অপচেষ্টা করে। ৯৮ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে একক শলাকা সিগারেট বিক্রি করায় শিশুরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ধূমপান করছে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) ‘বিগ টোব্যাকো টিনি টার্গেট: বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর সমকাল অনলাইন 

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন উপ-পরিচালক নাছিম বানু।

এতে বলা হয়, ৭৭ শতাংশ তামাক বিক্রয় কেন্দ্রে শিশুদের চোখের সমান্তরালে (আনুমানিক ১ মিটার) তামাক পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরকেও তামাক পণ্য ক্রয়ে প্রলুব্ধ করতে ৩৩ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের পাশাপাশি চকলেট, মিষ্টি বা খেলনা সামগ্রী বিক্রয় করা হচ্ছে। সেইসাথে প্রায় শতভাগ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হচ্ছে।  কৌশলে বিভিন্ন স্টিকার, ডেমো প্যাকেট, ফেস্টুন, ছাতায় তামাক কোম্পানির ব্র্যান্ডের মাধ্যমে এসব বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবোকো ফ্রি কিডস’র গ্র্যান্টস ম্যানাজার মো. আবদুস সালাম মিয়া, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, এন্টি ট্যোবেকো মিডিয়া এলায়েন্সের আহ্বায়ক মো. আলমগীর সবুজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে নাছিম বানু জানান, ২০১৭ সালের ৩ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় ‘ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নেতৃত্বে ইপসা, এসিডি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, উবিনীগ যৌথভাবে শিশুদের প্রতি তামাক কোম্পানির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য এ গবেষণাটি পরিচালনা করে। গবেষণাটি একযোগে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় পরিচালিত হয়।

তিনি আরও জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে ৯৬ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। ৮৪ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকপণ্যের স্টিকার, ডেমো প্যাকেট, ফেস্টুন, ফ্লায়ার প্রদর্শনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। ১৪ শতাংশ বিজ্ঞাপন হচ্ছে পোস্টারে, এক শতাংশ হচ্ছে ছাতায় তামাক কোম্পানির ব্র্যান্ডিং এবং এক শতাংশ বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে বিলবোর্ডের মাধ্যমে।

তামাকপণ্য বিক্রিতে প্রণোদনামূলক কার্যক্রম, উপহার ও মূল্যছাড় দেওয়াসহ নানা বিষয় ধরা পড়েছে জরিপে। ১০০ মিটারের মধ্যে এক শলাকা সিগারেট ও তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা, তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনাসহ এই জরিপে নানা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।