নেইমারের কোপা-মহড়া শুরু

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০১৯ ০৭:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭২ বার।

রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রানজা কোমেরি। চোখজুড়ানো হ্রদ আর সবুজে ঘেরা পরিবেশের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল কমপ্লেক্স। ১৯৬৮ সাল থেকে যাত্রা হওয়া এই কমপ্লেক্সকে ঘিরে আধুনিক ব্রাজিলের ফুটবল হয়েছে আরও বেশি সমৃদ্ধ, আরও বেশি প্রসিদ্ধ। সাম্বার দেশের অসংখ্য দর্শক প্রতিদিনই সেখানে ভিড় জমান। জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ আসরের আগে যেমন তারকা ফুটবলাররা এখানে অনুশীলন করেন। ঠিক অন্য সময়ও থাকে উদীয়মান ফুটবলারদের আনাগোনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে জুনের কোপা আমেরিকার ৪৬তম আসর সামনে রেখে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ব্রাজিল দলের অনুশীলন। নির্দিষ্ট সিডিউলের তিন দিন আগে সেখানে হাজির হয়েছেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। লীগ ওয়ানে দারুণ একটা মৌসুমে শেষ করে সোজা উড়ে যান নিজে দেশে। এরপর নেমে পড়েন অনুশীলনে।

রাশিয়া বিশ্বকাপে চমৎকার পারফর্ম করে অনেকটা পথ এগিয়েছিল ব্রাজিল। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের শিরোপা ছোঁয়া হয়নি। এবার সেই দুঃস্মৃতি ভুলে ঘরের মাঠে কোপা জেতার মিশনে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে চান নেইমাররা। হয়তো চাপ থাকবে, থাকবে কোনো নতুন চ্যালেঞ্জ। তবু দল হয়ে মাঠে নেমে ছিনিয়ে আনতে চান কাঙ্ক্ষিত বিজয়, 'মাথায় অনেক চাপ, তার পরও যখন দলের সবাই একত্র হবে তখন আমরাই হবো অপ্রতিরোধ্য।'

চোট যেন তার নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে সেমিফাইনাল মিস করেন নেইমার। গত বছরও পিএসজির হয়ে খেলতে নেমে মারাত্মক চোটে পড়েন। অবশ্য বিশ্বকাপের আগে আবার ফিট হয়েও যান। তবে এখন পর্যন্ত নেইমারভক্তরা খুশি থাকতে পারে, কেননা দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। সেজন্য কোপা আমেরিকায় মনটা দিতে চান শতভাগ। ১৪ জুন থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। ১২ দলের অংশগ্রহণে ব্রাজিলের ১২টি ভিন্ন ভেন্যুতে গড়াবে প্রতিযোগিতাটি। এবার 'এ' গ্রুপ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ব্রাজিল প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলা ও পেরুকে। উদ্বোধনী দিনে সেলেকাওদের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।

এবারের কোপায় নিঃসন্দেহে ফেভারিট তকমা নিয়ে মাঠে নামবে ব্রাজিল। যদিও এখনও সর্বাধিক শিরোপাধারী দল উরুগুয়ে। তবে আয়োজক হিসেবে এবার ব্রাজিলকে অনেকটা এগিয়ে রাখা যায়। অতীত ইতিহাসও সেই কথা বলছে। এর আগে চারবার কোপা আমেরিকার আসর হয় ব্রাজিলের মাটিতে। কাকতালীয়ভাবে ওই চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয় হলুদ জার্সিধারীরা।