দ্বিতীয়বার সুযোগ চান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০১৯ ১৪:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৩০ বার।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর পর দুই বছর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দাবি করেছেন ভর্তিচ্ছুরা।

রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলেছেন, দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না পেলে ভর্তিচ্ছুরা নিজের মেধা যাচাই করতে পারছেন না। তাই অবিলম্বে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষা দেবার পথ উন্মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টারর্স এসোসিয়েশনে (ক্রাব) এ দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাহিদ ভূইয়া নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, এইচএসসি পাস করার পর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে দেশের প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারাসহ বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রথম ধাপে ভর্তি পরীক্ষায় আশানূরূপ ফল আসে না। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ব্যর্থ অনেকে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।

নাহিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে আমরা অনেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও সেখানে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাচ্ছি না।

অন্য শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকবার প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ঢাবির বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থাকছে। অনেক সময় শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করলেও সেখানে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় তা খালি থাকছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে ৪১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় দফায় ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাকীগুলোতে এ সুযোগ রয়েছে। এতে করে পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়গুলোর মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্বেও প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। তার মধ্যে যেহেতু দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বেশি নেয়ার সুযোগ থাকায় তাদের ২ বা ৩ নম্বর কর্তন করে সমতা আনা যেতে পারে, যারা ঢাবিতে অধ্যয়নরত রয়েছে তাদের দ্বিতীয়বার ভর্তি সুযোগ থাকবে না, প্রতি বছর অযোগ্যতার জন্য ফাঁকা আসনগুলোতে, দ্বিতীয় দফায় ভর্তির সুযোগ দিলে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর দেশের সকল ভর্তিইচ্ছুদের সমন্বয় করে সারাদেশে একযোগে আন্দোলন শুরু করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।