সংবাদ সম্মেলন ঘোষণা

বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি নেতা সিরাজই ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৯ মে ২০১৯ ১৪:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১১ বার।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকেই ধানের শীষের প্রার্থী করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে বগুড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নিজের প্রার্থীতার কথা জানিয়ে বলেন,'দলের হাইকমান্ড আমার মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে এবং আমার নামে দলীয় প্রতীক ধানের বরাদ্দের টিস্যু ইস্যু করে গ্রহণ করতে বলেছেন। দু’ একদিনের মধ্যে আমি ঢাকায় দিয়ে ওই চিঠি নিয়ে বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করবো।'
শহরের রিয়াজ কাজী লেন এলাকায় সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর হেনাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বগুড়া-(৬) সদর আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ৮ মে তফসিল ঘোষণা করা হয়।  আগামী ৩ জুন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ২৪ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলের কারারুদ্ধ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। অন্য ৪জন হলেন দলের জেলা কমিটির আহবায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান, সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও দলের বিলুপ্ত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন।
তবে ওই পাঁচজনের মধ্যে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং জয়নাল আবেদীন চাঁন মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেননি। বাদবাকী ৩জন মনোনয়ন তুললেও বগুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় গত ২৭ মে অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। ফলে বর্তমানে বিএনপির দুই নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং রেজাউল করিম বাদশা বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়ে গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘আমরা তাদেরকে আজ (বুধবার) পর্যন্ত সময় দিতে চাই। এর মধ্যে যদি তারা ফিরে না আসেন তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে পারে। আর যদি তারা ফিরে আসে তাহলে নির্বাচনের পর তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হবে।’ দলীয় কার্যালয় কতদিন তালাবদ্ধ থাকবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই তালা খুলে দলীয় কার্যালয়ে যেতে পারি। কিন্তু যেহেতু আমরা নির্বাচনী কাজের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। যেহেতু নির্বাচনী প্রচার দলীয় কার্যালয় থেকে করা যায় না সেজন্য আমরা আপাতত দলীয় কার্যালয় ব্যবহারের চিন্তা করছি না।’