নুসরাত হত্যা মামলা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হস্তান্তর
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটির শুনানির জন্য ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন।
মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১০ জুন ট্রাইবুনালে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু।
এর আগে বুধবার ফেনীর জাকির হোসেনের আদালতে আলোচিত এই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম আদালতে এই চার্জশিট জমা দেন। খবর সমকাল অনলাইন
চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। এই ১৬ আসামির বিরুদ্ধেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে।
মাদরাসা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত অপর ১৪ আসামি হলেন- নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ আলম (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা(১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
নুসরাত হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে ২১ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত। তিনি এই মাদ্রাসার এবারের আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে ২৭ মার্চ মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন নুসরাত। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে।
নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন নুসরাত। এর জের ধরেই তাকে ডেকে নিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন লড়ার পর মারা যান নুসরাত।